দখলে নিতে বসতঘরে হামলার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুলাই ২০২৩, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ছয়কুট গ্রামে বাড়ি দখতে নিতে ভাতিজার বসতঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন ভাতিজা জামিল মিয়া।
তিনি বলেন, আমাদের আপন চাচা লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লা সাথে দীর্ঘ দিন থেকে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা বিদ্যমান আছে। ইতি পূর্বে আমার চাচা মানিক উল্লা তাহার ভাগীনা হাবিবুর রহমান নুহেল দ্বারা আমাদের উপর চাঁদাবাজি মামলা ও আরো মিথ্যা মামলা মুকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করিতেছেন। বর্ণিত আমার চাচা মানিক উল্লা আমাদের পৈত্রিক বাড়ী হইতে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনি ও কমলগঞ্জ থানা পুলিশ দিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। গত ১৪ জুলাই রাত অনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় আমার চাচা মানিক উল্লার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বদরুল ইসলাম, আমার চাচা মানিক উল্লার ছেলে বখতিয়ার এর বন্ধু লন্ডন প্রবাসী আওয়াল মিয়া ও মুজিব মিয়ার নেতৃত্বে আরও অজ্ঞাত নামা ১৫ থেকে ২০ জনকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে দেশী অস্ত্র (রাম দাঁ, ডেগার) ও আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে প্রথমে আমার ঘরের বিদুৎ মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আমি আমার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হতবিম্বল হইয়া চিৎকার দিলে সন্ত্রাসীরা আমাদের আক্রমন করে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী বদরুল হাতে থাকা কাঠের রুল দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাবীর মাথা বরাবর আঘাত করে এবং কিল ঘোষি থাপ্পড় মেরে মধ্যযোগীয় কায়দায় রক্তাক্ত করা হয়। আমার অসুস্থ মাকে লাথি ও থাপ্পর মারে এখন উনি হাটতেও পারছেন না। আমার ছোট ভাতিজা ভাতিজি তাদেরকেও ছাড়ে নি ওরা। সন্ত্রাসী আওয়াল তার হাতে থাকা ডেগার আমার গলায় ধরিয়া প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং চিৎকার করলে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে বলে। আমি ভয়ে চিৎকার দেইনাই। আর ৮/১০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে প্রবেশ করিয়া ঘরের আসবাবপত্র ও ঘরের টিনের বেড়া রামদা দিয়ে কুপিয়ে ভাংচুর করে। ঘর ভেঙ্গেছে শুধু তাই না আমার ভাই শামীম ভেবে বাড়ীর সামনে থাকা অপরিচিত লোককে এমন ভাবে কুপিয়েছে যে থাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এমন নৃসংস সন্ত্রাসী হামলা কখনোই আর হয় নাই।
জামিল মিয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে আশেপাশের লোকজন জড় হইলে এবং ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে। আসিতেছে খবর পাইয়া সন্ত্রাসীরা ঘর হইতে মূল্যবান জিনিসপত্র ও মোবাইল ফোন ৪টি এবং মামলার কাগজপত্র নিয়া যায়। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন আসিলে হাতে থাকা বন্ধুক দিয়ে গুলি ছড়িয়া গাড়ীতে উটিয়া মানিক উল্লার বাড়ীতে চলে যায়। পরবর্তিতে কমলগঞ্জ থানার ওসি ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া বরাবরের মতো গ্রামবাসীকে। সড়িয়ে দিয়ে সন্ত্রাসবাহিনীকে মানিক উল্লার বাড়ী থেকে প্রস্থান করতে সহায়তা করেছে। পুলিশের সহযোগিতায় ৪টি গাড়ী নিয়ে এমন হামলা করেও সন্ত্রাসীরা পালিয়েছে। পুলিশের এমন ভ‚মিকা নিয়ে আমরা ও আমাদের গ্রামবাসী অসন্তুষ্ট। বর্তমানে আমরা আমাদের মামলা নিয়ে বিচলিত। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।