বেঞ্চ ও বারের সম্পর্কের প্রধান অন্তরায় হচ্ছেন আইনজীবীরাই: আপীল বিচারপতি
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ জুলাই ২০২৩, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বেঞ্চ ও বারের সম্পর্কের প্রধান অন্তরায় হচ্ছেন আইনজীবীরাই। একটি মামলা করতে গেলে দুই পক্ষ হয়, এক পক্ষ জিতে আরেক পক্ষ হারে। এটি খুব স্বাভাবিক। যিনি হারলেন তিনি যদি ধরেন, যে আমার হয়তো মামলায় পয়েন্ট ছিল না তাই হেরে গেছি। অত্যন্ত ভাল। তিনি যদি একথা না বলে। তিনি বলে বেড়ান, জজ সাহেব তো ঘুষ খেয়েছেন। এটা সর্বনাশ। এটা যদি বলেন কোন আইনজীবী, তাহলে তার মক্কেল সেটা বিশ^াস করবে। আমি এটা অনেক দেখেছি, মামলায় হেরে গেলে অনেক আইনজীবীরাই বলে বেড়ান, জজ সাহেব ঘুষ খেয়েছেন। আইনজীবী যদি এটি না বলেন, তাহলে জজ সাহেবের বিরুদ্ধে এই অপবাদ আসেন না। একটা পরিসংখ্যান আছে সারাদেশে শতকরা ৯৭-৯৮ % জজ সৎ। টিআইবি আমাদের তকমা দেয়, বিচারবিভাগ দুর্নীতিগ্রস্থ। কেন দেয়? বিচারক থেকে আইনজীবী, পুলিশ পর্যন্ত যারা আছেন সবাই কিন্তু বিচারকার্যের অংশ। এদের মধ্যে কারো যদি উল্টাপাল্টা হয়, এই সবগুলো দায়ভার কিন্তু পরে জজ সাহেবের উপরে। বিচার বিভাগ দুর্নীতিগ্রস্থ এই কারণেই বলে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিশ্রামাগান ন্যায়কুঞ্জ এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান পার্লামেন্টে সম্ভবত আইনজীবির সংখ্যা ১৭ কিবা ১৮ জন হবেন। একসময় এই আইনজীবির সংখ্যা ছিল অনেক। আইনজীবি বা আইনের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলেন এরকম ছিলেন ৭০-৮০ জন। কিন্তু এখন পার্লামেন্টের অবস্থা কি? রাজনীতিতে সচেতন হতে হবে, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। আইনজীবিদের সমাজ পরিবর্তনে অংশ নিতে হবে। সেজন প্রত্যেক আইনজীবিকে তৈরী হতে হবে।
মৌলভীবাজার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি রমা কান্ত, সাধারণ সম্পাদক বদরুল হোসেন ইকবাল, জিপি আব্দুল খালিক ও পিপি নিখিল রঞ্জন দাস।