মৌলভীবাজারে পুলিশের আটকের পর আসামীর মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২৩, ৭:০৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৌলভীবাজারে পুলিশের আটকের পর জসিম উদ্দিন নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) রাতে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বিকাল ৫.১০ মিনিটে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা থেকে তাকে আটক করেন মৌলভীবাজার মডেল থানার এএসআই শাকির আহমদ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক জসিম উদ্দিন মৌলভীবাজার শহরের বেরিরচর এলাকায় বসবাস করেন। তার স্থানীয় ঠিকানা হবিগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। একটি মোবাইল চুরির জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জসিম মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। এরপর সন্ধ্যার দিকে আসামি জসিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ দাবি করে।
জসিমকে আটক করা এএসআই শাকির আহমদ জানান, শনিবার বিকেল ৫:১০ মিনিটে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মোবাইল চুরির জিডির প্রেক্ষিতে আসামি জসিম উদ্দিনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। থানার আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে জৈনক মহিলার মোবাইল ছিনতাই করেছে। তার স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে আরো দুই অপরাধী সুফিয়া ও মারুফকে গ্ৰেফতারের জন্য বের হই। এরপর সন্ধ্যার দিকে আমার কাছে খবর আসে আসামি জসিম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মৃত্যু জসিমের বাবা আরজু মিয়া শনিবার রাতে হাসপাতালে জানান, আমি শুনেছি আমার ছেলেকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর আমি ছেলের স্ত্রীকে থানায় পাঠাই। থানায় যাবার পর তার মোবাইল বন্ধ পাই। পরবর্তীতে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি আমার ছেলের লাশ পরে আছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, রোগিকে মুমর্ষ অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার দেখে ইসিজি করান। ইসিজি রিপোর্ট আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় স্যার আমাদের মিডিয়ার মুখপাত্র। এবিষয়ে কিছু জানাতে হলে, উনার সাথে কথা বলেন।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘জসিম নামের একজন মারা গেছেন। তিনি আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন, সেটা আমাদের জানা ছিল না। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন তো দূরের কথা উনাকে ধমকও দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে উনাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ঘণ্টা দু-এক পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং তিনি মারা যান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়। ময়নাতদন্তও করা হয়েছে। পরিবার কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি। মরদেহ হস্তান্তরের পর দাফন করেছে পরিবার।’