মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা ৩৯.৮ ডিগ্রি, অস্থির মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ মে ২০২৩, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
কয়েকদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে মৌলভীবাজার জেলা। গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে খেটে-খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের জীবনে। তীব্র গরমের কারণে শহরের কমে গেছে যান চলাচল। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (৮ মে) বিকাল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রিতে পর্যন্ত ওঠানামা করছে।
কাউয়াদিঘী হাওরের কৃষক পারভেজ মিয়া বলেন, এত গরমে আমি বিগত কয়েক বছরে দেখি নাই। জমিতে পানি নাই, যার কারণে সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারছি না। ডিজেলচালিত ইঞ্জিন দিয়ে পানি দিয়ে কোনোরকমে ধানের বীজ সংরক্ষণ করছি। যদি দাবদাহ অব্যাহত থাকে তবে অনেক ক্ষতি হবে।
শমসেরনগর চা বাগানের শ্রমিক রাজকুমারী বিন বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে চা বাগানে কাজ করতে হয়। এত গরম, শরীর পুড়ে যাচ্ছে। ছাতা নেওয়ার পরও মনে হচ্ছে সূর্য মাথার ওপরে। খুবই ক্লান্ত লাগছে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার শহরের ডাব বিক্রেতা নজরুল মিয়া বলেন, এত গরম, যেন অশান্তিতে ছটফট করছি। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ডাব খাচ্ছে। প্রচুর ডাব বিক্রি হচ্ছে। ছোট বড় সবাই ডাব কিনে খাচ্ছে। প্রতিপিস ডাবের দাম ১শ টাকা।
আখের রস বিক্রেতা মুয়িন মিয়া বলেন, গরমে নাভিশ্বাস। এভাবে কতদিন থাকবে জানি না। হবিগঞ্জের মনতলা থেকে আখ কিনে এসে এখানে মেশিনে পেরে বিক্রি করি। প্রতি গ্লাস ১৫ থেকে ৩০ টাকা।
মৌলভীবাজার শহরের কলিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইশরাত বলেন, গায়ে আগুন লাগছে। বাসা থেকে আগুনের মতো গরম বের হচ্ছে। এর মধ্যে লোডশেডিং তো আছেই। গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস জানান, মৌলভীবাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। আরও ২ থেকে ৩ দিন গরম থাকতে পারে। তবে বৃষ্টিপাত হলে দাবদাহ কিছুটা কমবে।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, কাশির রোগীর সংখ্যা বেশি। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায় আবার কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে।