মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতা তখলিছুর রহমানের বাড়িতে আওয়ামীলীগের হামলা ও লুটপাট
প্রকাশিত হয়েছে : ২ মে ২০২৩, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতা মোঃ তখলিছুর রহমানের বাড়িতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (০১ মে) রাত ১১টার দিকে বিএনপি নেতার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২রা সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ রোজ শুক্রবার বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে একটি মিছিলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে আবুল হাসনাত নামের এক আওয়ামীলীগ কর্মী নিহত হয়। পরে এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ববর্তী শত্রুতার জেরে বিএনপি নেতাকে জড়িয়ে তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাতের ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মোঃ তখলিছুর রহমান পূর্বদিককে বলেন, কুখ্যাত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গত সোমবার রাত ১১টার দিকে আমার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আমাকে হত্যা করা। ভাগ্যক্রমে ঘটনার সময় আমি বাড়িতে না থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যাই। ওই সময় তারা আমাকে বাড়িতে না পেয়ে অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ৩ ভরি সোনা গহনাসহ আমার অনেক দামি জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়। এতে আমার সর্বমোট ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, তারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাসের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের এই অন্যায় অত্যাচার, লুটপাট ও প্রাণনাসের হুমকির ফলে আমার পরিবারের লোকজন খুব অনিরাপদ ও আতঙ্কের মধ্যে দিনকাল কাটাচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। এসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বিগত ১৪ বছর ধরেই আমাদের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের এসব সন্ত্রাসীদের হাতে নানাভাবে অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছেন। দেশের প্রশাসন এসব সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করার কারণে দেশে রাহাজানি, হত্যা, খুন, গুম, লুটপাট, ভাঙ্গচুর ইত্যাদি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমার দেশের জনগণ এসব অন্যায় আর কখনো সহ্য করবে না। এখনই উপযুক্ত সময় আমাদের সবাইকে সোচ্চার হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দ্রুত পতন নিশ্চিত করার। এছাড়াও তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান এবং তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জানতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, এই ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।