মানুষের জনজীবনে অস্বস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ৪:৪০ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টানা তাপপ্রবাহের পর মৌলভীবাজারে বৃষ্টি হয়েছে। তারপরও জনজীবনে স্বস্তি নেই। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বাড়ছে। বৃষ্টি হলেও যাচ্ছে না গরমের তীব্রতা।
গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে গরমের তীব্রতা। এতে জেলাজুড়ে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। রোজার শেষে এসে মানুষ অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ রাতেও বৃষ্টি হতে পারে। ধীরে ধীরে গরমের তীব্রতা কমে যাবে।
রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজারের যুবক রুবেল বলেন, হালকা বৃষ্টিতে গরম বেড়ে গেছে। গরমের তীব্রতা সহ্য করা যাচ্ছে না। বাজারে এসে শরীর ভেজে গেছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ মুলাইম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে শহরের পাশ দিয়ে বহমান মনু নদীতে শরীর ডুবিয়ে রাখছেন এক ঝাঁক কিশোর-যুবক।
কথা হয় শহরের মল্লিকসরাই মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হোসেনের সঙ্গে। সে বলে, ‘গরম সহ্য হচ্ছে না তাই নদীতে সাঁতার দিচ্ছি। নদীর ওপরের পানি গরম। তবে নিচের পানি ঠান্ডা হওয়াতে কিছুটা আরাম পাচ্ছি। এ পর্যন্ত দুবার পানিতে নেমেছি।’
শহরের চাঁদনীঘাট এলাকার দিনমজুর আলী হোসেন বলেন, ধানতোলা শুরু হলেও তীব্র গরমে কাজে যেতে পারিনি। খুব কষ্ট হচ্ছে। রাতে বৃষ্টি হলেও গরম যাচ্ছে না।
মৌলভীবাজার শহরের আইনজীবী নাজমুল হক বলেন, বৃষ্টিতেও স্বস্তি নেই। ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। রোজার শেষ পর্যায়ে এসে জনজীবন অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, হালকা বৃষ্টিতে গুমোট আবহাওয়ার সৃষ্টি হওয়ায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। আজ মৌলভীবাজারে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে অনুভূত হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। আজ রাতেও বৃষ্টি হতে পারে।