কুলাউড়ায় উসমান হত্যা মামলায় ফরমান আলী গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৭ অপরাহ্ণ
কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় উসমান আলীকে (৫৩) হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক ভাবে মোঃ ফরমান আলী (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে কুলাউড়া থানার পুলিশ। তিনি ৫নং ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নের আওতাধীন দক্ষিণ হিংগাজিয়া গ্রামের মৃত ক্বারী আব্দুস সাত্তার এর ছেলে। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কুলাউড়া থানা সূত্রে জানা যায়, ১৬ এপ্রিল রবিবার সকালে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের আমুলি পুঞ্জির কাছে তিন রাস্তার মোড় এলাকা থেকে উসমান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উসমান উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের নোনা টিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মৃত হায়দার আলীর ছেলে। নিহত ব্যক্তি কুলাউড়া থানায় দায়েরকৃত মামলা ০৫ জিআর ২৮৯/২০১৪ইং যুবলীগ নেতা সাহেদ আহমদ হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন। এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে কুলাউড়া থানায় পাঁচজনকে আসামী ও আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি হত্যা মামলা করেছেন উসমান আলীর স্ত্রী রাজিয়া বেগম। নিহতের পরিবারের দাবি সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে উসমানকে হত্যা করেছে যাতে উসমান আদালতে উপস্থিত হয়ে সত্যতা প্রকাশ করতে না পারেন। আসামিরা হলেন- কর্মধা ইউনিয়নের রাঙ্গিছড়া চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া (৩৫), রুমন অলমিক (৩২), লক্ষ্মীপুর এলাকার তোফায়েল আহমদ (২৫) এবং পূর্ব বাবনিয়া এলাকার লকুছ মিয়া (৪০) ও চান্দু মিয়া (৫০)। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল ভোর বেলা রুমন অলমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উসমানের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিল উসমানকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এমন ধারণা থেকে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে উসমান আলীকে স্থানীয় লম্বাছড়া পান জুম পাহারা দেবার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান সবুজ মিয়া, রুমন অলমিক, তোফায়েল আহমদ, লকুছ মিয়া ও চান্দু মিয়া। এরপর আর উসমান বাড়ি ফেরেননি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে রুমন অলমিক ও ফরমান আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত।