জবাই করা দুর্লভ মুনিয়া পাখিসহ শিকারী আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০২৩, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে জীবিত ও জবাই করা দুর্লভ মুনিয়া, বুলবুলি পাখিসহ ও পাখিধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ।
শুক্রবার (৩১মার্চ) বিকালে কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানের বাঘাছড়া এলাকা থেকে পাখি শিকারীর কাছ থেকে ২২টি মুনিয়া পাখি ১জন শিকারী ও শিকার করা ফাঁদ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গল। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে বন্যপ্রাণী বিভাগ।
আটককৃত শিকারী উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইদেশী গ্রামের তাজ বকসের ছেলে আনছর আলী(৫০)। পালিয়ে যাওয়া ২জন হলো আশরাফুল মিয়া ও আজিবুর। তাদের ২জনের বাড়ি একই উপজেলার রাজকান্দি গ্রামে।
স্টেন্ড ফর আওয়ার ইনডেইজার্ড ওয়াইল্ডলাইফ (সিও) টিমের সোহেল শ্যাম বলেন, শিকারীরা এ পাখি শিকার করলে তা যায় প্রভাবশালীদের ঘরে। যার কারণে অবাধে চলছে শিকার। এভাবে শিকার হলে ধ্বংস হয়ে যাবে বন্যপ্রাণীরা। তিনি বলেন, আমার মুঠোফোনে কল আসে শিকারীরা ফাঁদ পেতেছে পাখি শিকারের জন্য। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি স্টেন্ড ফর আওয়ার ইনডেইজার্ড ওয়াইল্ডলাইফ টিম এর সদস্যদের সাথে নিয়ে জবাই করা ১০ মুনিয়া পাখি ও ১টি বুলবুলি ও জীবিত ১১ মুনিয়া পাখি উদ্ধার করেন। একই সাথে জীবিত ১১টি মুনিয়া উদ্ধার করে অবমুক্ত করেন।
এসময় কুরমা চা বাগানের বাঘাছড়া হাওড় হতে শিকার করার সরঞ্জাম, ১টি দা, ২টি বাইসাইকেল ১টি মোবাইল ফোন ও ১টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিতি বুঝতে পেরে ২জন শিকারীরা পালিয়ে যায় এবং ১জনকে আটক করা হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে গত ১৮ মার্চ একই এলাকা থেকে জবাই করা ৩৮টি মুনিয়া উদ্ধার করা হয়। এসময় শিকারীরা পালিয়ে যায়।