অস্ত্র ব্যবসার দায়ে দুই যুবককে ৭ বছরের কারাদন্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১:১৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অস্ত্র ব্যবসার দায়ে দুই যুবককে ৭ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মৌলভীবাজার জেলা দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (১৫ মার্চ) মৌলভীবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক সফিকুল ইসলাম এই রায় ঘোষনা করেন। আসামীরা হলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বড়কাপন এলাকার আব্দুল বারী চৌধুরীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী (২৮) ও আব্দুল শাহান চৌধুরী (২২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার অন্তর্গত বড়কাপন এলাকায় দীর্ঘ দিন জাবত একটি চক্র অস্ত্র ব্যবসা করে আসছে । এই চক্রের প্রধান আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী ও তার ছোট ভাই। এই চক্রকে দীর্ঘ দিন জাবত পুলিশ আটক করার চেষ্টা করে আসছিল। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি পুলিশ টহল ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে বড়কাপন এলাকায় আসামীগণ অস্ত্র ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেতেছে, ঐ সময় পুলিশ এদের আটক করার জন্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।
বাড়ি থেকে পুলিশ ১টি শর্টগান, ২টি রাবার কার্তুজ ও ১টি রিভলবার উদ্ধার করে। পরে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলার শুনানি ও স্বাক্ষ গ্রহণের পর আদালত দুই আসামীকে ৭ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পি. পি এএসএম আজাদুর রহমান বলেন, পুলিশের দায়ের করা মামলায় আসামীদের আদালত ৭ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। যেহেতু আসামীরা পালাতক তাই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরয়ানা জারী করেন, এবং পুলিশকে নির্দেশ করেন যত দ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করার।
আসামী পক্ষের আইনজীবি সাখাওয়াত হোসাইন বলেন আমার বাদীরা নির্দোষ। স্থানীয় প্রভাবশালী এমপি নেছার আহমদ তাদের মূল্যবাদ জায়গা জোরপূর্বক দখল করেন এবং তাদের বড় ভাইকে হত্যা করেন।আমার বাদী তার ভাইয়ের হত্যার বিচারের আশায় আদালতে মামলা করায় নেছার আহমদের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী অনেকবার আমার বাদীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে এমপি নেছার আহমদের নির্দেশে পুলিশ আমার বাদীর বাড়িতে অস্ত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দায়ের করে। আজ আদালত রায় প্রকাশ করে। আদালতের আজকের এই রায় আমার বাদীর বিরূদ্ধে পরিকল্পিত ও সাঁজানো। এই রায়ে আমি ও আমার বাদী সন্তুষ্ট নই। তিনি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।