মৌলভীবাজারে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ, সাবেক এমপি নাসেরসহ আহত ২০
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০২৩, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিএনপি ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে শহরের কোর্ট রোডস্থ কাশিনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান সহ বেশ অন্তত ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত নাসের রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুর ১টার দিকে শুরু হওয়া বিএনপির মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব জসিম তালুকদারসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের প্রায় ২০ জন আহত হন। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা করা হয়।
আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। মৌলভীবাজার সরকারি স্কুল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।
বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে বিএনপির মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলে হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এনিয়ে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম বলেন, দুপুর ১ ঘটিকায় শুরু হওয়া বিএনপির মাববন্ধনের প্রস্তুতিকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এসসয় হামলায় এম নাসের রহমান সহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের প্রায় ২০ জন আহত হয়।
এদিকে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম সুমন বলেন, শহীদ মিনার থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের শান্তির মিছিল চলছিল এ সময় কে বা কারা মিছিলের মধ্যে ঢিল মারে এরপর থেকেই এ সংঘষের সৃষ্টি হয়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।