ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ দিবস পালিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ মার্চ ২০২৩, ২:৩৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জয়বাংলা শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ হতে ‘জয় বাংলা শোভাযাত্রা’ শুরু করে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে এই যাত্রা সমাপ্ত হয়। পরবর্তীতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল উদ্দিন এবং কানাডা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম মুহিবুর রহমান ।
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য নেছার আহমদ তাঁর বক্তব্যে জাতির জনকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদেরকে দেশ গঠনের জন্য আহবান জানান। মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইতিহাস বলে যে বাঙালিদের ভাষার উপরে আঘাত করা হয়। তাদের সংস্কৃতির উপর আঘাত করা হয়। আর বাঙালি জাতি প্রতিবাদ করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণকে আল্লাহর তরফ থেকে এক প্রকার সাহায্য উল্লেখ করেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণকে আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক ভাষণের সাথে তুলনা করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। ঐদিন আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে এক প্রকার জোর পূর্বক ধরে এনে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ভাষণ দিতে বলে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান এর নানা টালবাহানার কারণে উনাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প নেই। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে দেশের উন্নতি হতো না। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া তাঁর বক্তব্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। তিনি দেশ ও জাতি গঠনে সবার প্রতি আহবান জানান। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান উপস্থিত অতিথিগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং দেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও জীবন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিষয়ে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কণ ও ভাষণভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে অতিথিগণ পুরস্কার বিতরণ করেন। পরিশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।