বাইক্কা বিলে সাংবাদিকদের একদিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ
ওমর ফারুক নাঈম, বাইক্কা বিল থেকে ফিরে::
হিজল বনের আঁকাবাঁকা পথ। পাশের বিলে হাজার হাজার পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে মিছিল দিচ্ছে আকাশ। নিচের কমলা রঙের গেঞ্জি পরে হিজল বনে হাঁটছেন সাংবাদিকরা। পাখির রাজ্যে বাইক্কা বিলে আনন্দময় একটি দিন কাটালেন মৌলভীবাজারের সাংবাদিকরা।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী ছিল মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন। এ আয়োজন জেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
সবুজ চা বাগানে চোখে পড়ল লম্বা লম্বা গাছের সারি। জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা গ্ৰামের পাশেই বাইক্কা বিল। বাস ভর্তি করে সবাইকে নিয়ে সেখানেই হাজির চালক। দৃষ্টিনন্দন একটি ফিশারির পাড়ে সব আয়োজন। সেখানে সবাই সকালের নাস্তা সেড়ে নিলেন। সবার গায়ে কমলা রঙের মধ্যে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব আকা পোশাক। এরপর একে একে সবাই বের হলেন বাইক্কা বিল দর্শনে। সব সহকর্মী একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা বলে অভিমত জানালেন অনেকে।
সময় টিভির রিপোর্টার শাহ অলিদুর রহমান বলেন, আমরা সবাই সহকর্মী। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকি। আজ সবাইকে একসঙ্গে দেখে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের চিরচেনা বাগানে সবাইকে নিয়ে এসে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।
বাইক্কা বিলে আছে দুইটি ওয়াচ টাওয়ার। প্রথমটিতে বেশি পর্যটক আসেন। দ্বিতীয় টাওয়ার টি লোকচক্ষুর কিছুটা আড়ালে। সেখানে সাংবাদিকরা গিয়ে মুগ্ধ হলে। খুব কাছ থেকেই পাখিদের দেখা গেল।
ফিরে দুপুরে খাবার সেরেই সবাই খেলার মাঠে। দাগের ভিতরে বাহিরে, বেলুন ফোটানো, তরুণদের মোরগ লড়াই, প্রবীণদের বল নিক্ষেপ খেলার আয়োজন ছিল। আনন্দদায়ক খেলায় অনেক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো। প্রতিটি খেলায় তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। কেউ জিতেছেন, কেউ হেরেছেন। কিন্তু সবাই খুশি।
সমকালের জেলা প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম বলেন, খেলায় কেউ জিতেছেন কেউ হেরেছেন। আসলে জয় পরাজয় বড় কথা নয়। আজ আমরা সহকর্মীরা যে একসঙ্গে মাঠে নেমে খেলতে পেরেছি এটাই বড় প্রাপ্তি। আমাদের এ বন্ধন চিরকাল যেন থাকে।
লটারির ড্র ও খেলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। গ্ৰামের আঁকাবাঁকা পথ মাড়িয়ে গাড়ি সবাই পৌঁছলেন বরুনা গ্রামে। সেখানে আছে ঐতিহ্যবাহী লারা চায়ের দোকান। একটু বিশ্রাম নিয়ে সবাই চা খেলে। এরপর শহরের উদ্দেশ্যে রওনা।
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত বলেন, আমরা সাংবাদিকরা সারা বছর কর্মব্যস্ত থাকি। আজ এ বনভোজনের মাধ্যমে সবাই একত্রিত হলাম। সবাই একটি আনন্দময় উৎসব উদযাপন করলাম। মূলত সাংবাদিকদের ব্যস্ততা কাটিয়ে যাতে সবাই আনন্দ উদযাপন করতে পারেন এজন্য মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব বনভোজনের আয়োজন করে। আমরা এই আয়োজন সম্পন্ন করতে পারলাম। এজন্য আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।