প্রভাবশালীরা পাখি শিকারে জড়িত, বেড়েছে হরিণ শিকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
প্রভাবশালী পরিবারের মানুষরা শিকারিদের কাছ থেকে পাখি কিনেন এবং লাঠিটিলা বনাঞ্চলে বেড়েছে হরিণ শিকার। মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে হাকালুকি হাওরের চাতলা বিলে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, আইইউসিএন ও পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিম এর যৌথ উদ্যোগে সচেতনমূলক সভার আয়োজন করা হয়।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার এর সভাপতিত্বে ও আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম সহকারী মাহী ওয়াসীম এর পরিচালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ মোঈদ ফারুক।
এম.এ মোঈদ ফারুক বলেন, লাঠিটিলা বনাঞ্চলে এখন হরিণ শিকারও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত কয়েকদিনে আগেও আমি খবর পেয়েছি কে বা কারা হরিণের মাংস নিয়ে আলাপ আলোচনা করছেন। আমাদের অঞ্চলের অনেক বড় বড় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানরা পাখি শিকারিদের কাছ থেকে পাখি আনেন। যে বাড়িতে পাখি সংরক্ষণ হওয়ার কথা সেই বাড়ির ছেলেরাই এসব কাজে জড়িত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ, আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম সহকারী সামির সাহা, জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরে আলম লাল, পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সভাপতি কামরুল হাসান নোমান, সদস্য খোরশেদ আলম ও সমাজসেবক হাবিবুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্য সাব্বির খান, আবিদ হোসাইন, খালেদুর রহমান, আদনান চৌধুরী ও মাহমুদ উদ্দিন।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, একসময় হাকালুকি হাওরে শুধু পাখি আর পাখি ছিল। দিনে দিনে পাখির সংখ্যা কমে গেছে। পাখিগুলো অনেক দূরের পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে আসে। এদের যদি মেরে ফেলা হয় তাহলে একসময় আমাদের দেশে পাখি আসা বন্ধ হয়ে যাবে। হাকালুকির সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। বেশি বেশি পাখির সমাগম হলে হাকালুকিতে পর্যটকরা বেশী আসবে এতে এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। পাখি শিকার রোধে স্থানীয়ভাবে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।