আ.লীগ গনতন্ত্রের লেবাসপরে দেশে স্বৈরতন্ত্র চালু করেছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার,ভোটাধিকার ও বিএনপি ঘোষিত ১০দফা বাস্তবায়নে চুড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহব্বান জানিয়েছেন প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
গতকাল বুধবার বেলা তিনটায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আয়োজনে ‘গনতন্ত্র হত্যা‘ দিবসের বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহব্বান জানান।
তিনি বলেন,আ.লীগ আর কিছু নয় তারা একটা মাস্তানতন্ত্রদল। আ.লীগ উপর দিয়ে দিয়ে গনতন্ত্রের লেবাসপরে দেশে স্বৈরতন্ত্র চালু করেছে। তাদের জনগণের ভালমন্দ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। দেশের জনগণ একশোর মধ্যে নিরানব্বইভাগ বিরুদ্ধে গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তারা বেসিকেলি একটা মাস্তান সরকার। এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের হায়া শরম লজ্জা বলতে কিছু নেই। এই মাস্তান সরকার যদি আরও ক্ষমতায় থাকে তাহলে বুঝতেই পারছেন দেশের কি অবস্থা হতে পারে। নাসের রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ নেতাদের রাষ্ট্রের লুট করা টাকা বিদেশে পাচার করা তাদের সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরের কাগজে আ.লীগের ৪৫৯জন নেতার দুবাইতে বাড়ীঘরের লিষ্ট বের হয়েছে। এ দলটির পাতি নেতা থেকে বড় নেতা সবাই লুটপাটে জড়িয়েছে।
নিউইয়র্কে একটি বাংলা পত্রিকায় ‘নিউইয়র্কে অলিগলিতে আ.লীগ নেতাদের বাড়িঘর“ হেড লাইনে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আ.লীগ এ দেশটাকে লুটে শেষ করে দিয়েছে। এই দেশটাকে মেরামত করতে হলে বিএনপির ১০ দফার বিকল্প নেই। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদিসহ গ্যাস বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে জনগণের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। কাগজে খবর বেরোচ্ছে আরও বাড়াবে। জনগণ এখন দিশেহারা।
নাসের রহমান বলেন- শেখ হাসিনা ইভিএমএ নির্বাচন করার জন্য খুব আনন্দ উচ্ছাসে ছিলেন। নানান চাপে তা বাতিল হওয়াতে এখন মাথায় হাত পড়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে করেছে। বিগত তিনটি নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারেনি। মানুষকে মামলা হামলা,ঘুম খুন ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। দেশে নব্বইভাগ মানুষ এ গণবিচ্ছিন্ন সরকারের পতন চায়। একমাত্র পুলিশ দিয়ে এই স্বৈরাচার সরকার টিকে আছে। এখন আমাদের চুড়ান্ত আন্দোলনে যেতে হবে। যে কর্মসূচী দিলে সরকারের গায়ে লাগবে পদত্যাগে বাধ্য হবে আগামীতে সেই কর্মসূচী দিতে হবে। সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীদের চুড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা ফয়সল আহমেদের পরিচালনায় শহরের লাইটেস স্ট্যান্ডের পাশে ফরহাদ প্লাজার সম্মূখে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সদর উপজেলা বিএনপির সাধরাণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ রশিদ, জেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জি এম এ মোক্তাদির রাজু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ শামিম জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউর রহমান, ক্রিড়া সম্পাদক বদরুল আলম, সদর থানা যুবদলের আহবায়ক হাফেজ আহমদ মাহফুজ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমির মোহাম্মদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাই পিপলু, সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক সৈয়দ জাবেদ আলী নাঈম ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আশিক মোশাররফ, বদরুল আলম, মো: হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক মো: ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাউর রহমান, জেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষকদলের আহবায়ক শামিম আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন, প্রচার সম্পাদক মো: ইদ্রিস আলী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আহমদ, খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা মিয়া, জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হেকিম, জেলা বিএনপির সদস্য শফিকুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, জেলা মহিলা দলের নেত্রী শ্যামলী সূত্রধর, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শফি, শফিকুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল জামাল, রাজনগর উপজেলা বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শামিমসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মহিলাদল, ওলামাদল, শ্রমিকদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
সভা শেষে নাসের রহমানের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।