শেরপুরে শুরু হয়েছে মাছের মেলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২:২৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
বিশাল আকৃতির বাঘাইড়। আছে বোয়াল, চিতল, বিপন্ন মহাশোল, রুই, কাতলা, মৃগেল, বাউশসহ বড় আকারের নানান মাছ। রয়েছে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের সমারোহ। হাওর-নদীর তরতাজা মাছে চারদিক সয়লাব। এ যেন মাছেরই রাজ্য। ধুম পড়েছে মাছ কেনাবেচার। বলছি, পৌষ-সংক্রান্তির উৎসবকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের শেরপুরে মাছের মেলার কথা।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকে শুরু হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলার। সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মিলনস্থল মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার শেরপুরে আয়োজন করা হয় এই ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলার।
স্থানীয়রা জানান, দুই দিনব্যাপী পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় এই মেলার। মাছ কেনাবেচার গ্রামীণ এ উৎসবের নাম ‘মাছের মেলা’। এ মেলাটি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা, আয়োজনকারী ও দর্শনার্থীদের আনন্দ উৎসবের অন্যতম খোরাক। যেখানে লাখ টাকা দাম হাঁকা হয় বিশাল আকৃতির একেকটি মাছ। চলে কোটি টাকার কেনাবেচা।
জানা গেছে, এরই মধ্যে মাছের আড়ৎদাররা মাছ নিয়ে এসেছেন। মজুত করে রাখা হয়েছে ছোট-বড় নানা জাতের মাছ। আছে বাঘাইড়, বোয়াল, আইড়, চিতল, কাতলা, রুই ইত্যাদি।
মেলাকে কেন্দ্র করে মৎস ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত করছেন বড় বড় দোকান। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন হাওরের মাছের উপর নির্ভর করে প্রতিবছরই বসে এ মেলা। মৎসজীবীরা এই মেলায় মাছ বিক্রির জন্য এক থেকে দের মাস আগে থেকেই বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে থাকেন। এই মাছগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় পানিতেই বাঁচিয়ে তাজা রাখেন মেলাতে বিক্রির জন্য।
আয়োজকেরা জানান, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মেলায় পার্শবর্তী কুশিয়ারা নদী, হাকালুকি হাওর, কাওয়াদিঘি হাওর, হাইল হাওর ও সুনামগঞ্জের টাঙুগুয়ার হাওর সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা রুই, কাতলা, বোয়াল, গজার, বাঘাইড় ও আইড় মাছ সহ বিশাল আকৃতির মাছ নিয়ে আসেন ঐতিহ্যবাহী এ মেলায়।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১৪ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তিতে আয়োজন করা হয় ‘মাছের মেলা’ নামের এই মেলা। শুরুতে ওই মেলাটি সদর উপজেলার মনুমুখ এলাকায় হলেও পরবর্তীতে মেলাটি উপজেলার শেরপুরে স্থানান্তরিত হয়।