বিয়ানীবাজারের ছাত্রলীগ কর্মী লিটন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী লিটন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর খবর পাওয়া গেছে। আদালত এবং আলোচিত এ মামলার বাদী সূত্র জানিয়েছে,গতকাল ছিল সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন।
১ম দিন বিচারপতি জয়নুল ইসলাম ও এম সারওয়ারের দ্বৈত ব্যাঞ্চে সাক্ষী দিয়েছেন মামলার বাদী,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,বিয়ানীবাজারের ৭ নং মাথিউরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,মামলার বাদী হিসেবে তিনি গতকাল স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আদালত তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এসময় তার পক্ষের প্রধান আইনজীবি,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিন আরো বলেন,’অনেক জটিলতা পেরিয়ে হত্যা মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে চলে আসছে। সাক্ষ্য গ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শেষ হলে প্রত্যাশিত রায় ঘোষণা করবেন আদালত। আসামী পক্ষ এ বিচারকে বিলম্বিত করার জন্য নানা পায়তারা করছে। তাদের আইনজীবিরা সময় ক্ষেপনের জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেছিল। আদালত তা আমলে নেননি। লিটনের স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা খুনীদের শাস্তি দেখতে চায়। লিটন হত্যার বিচারের দাবীতে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা এখনো সোচ্চার। আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি মাঠে-ময়দানে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করছি, করবো।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২০ মে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিয়ানীবাজার পৌর শহরে মৎস ব্যবসায়ীদের সাথে ছাত্রলীগ (আমান গ্রুপ) এর সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে লিটন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী গ্রুপ (আমান গ্রুপ) এর পরিচালক আমান উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক ২ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। গত বছরের ডিসেম্বরে কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকা থেকে সফর উদ্দিন নামে একজন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এ মামলার মোট ৩ জন আসামী বর্তমানে কারাগারে আছেন।পুলিশ বলছে, বাকী আসামীরা পলাতক।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছর (২০২২ সালে) পুলিশ মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দাখিল করে। মামলায় নাম থাকা ৪ জনের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে বাদ দিয়ে ১১ জনের নামে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত ১১ জন হলেন (১) সালা উদ্দিন-পিতা রফিক উদ্দিন,(২) নাইম আহমদ-পিতা গৌছ আহমদ,(৩) আবু সুফিয়ান-পিতা কামাল উদ্দিন,(৪) সিরাজ তালুকদার-পিতা নজীব তালুকদার,(৫) কয়ছর আলম-পিতা শাহীন আলম (৬) সফর উদ্দিন-পিতা রহিম উদ্দিন,(৭) আলা উদ্দিন-পিতা আছাব উদ্দিন,(৮) মইন উদ্দিন-পিতা কফিল উদ্দিন (৯) আব্দুস সামাদ-পিতা আব্দুল জব্বার,(১০) এমাদ উদ্দিন-পিতা আমির উদ্দিন,(১১) হিজবুল আলম-পিতা জহিরুল আলম। উল্লেখিত ১১ জনের মধ্যে অধিকাংশই ব্যবসায়ী। এর মধ্যে কয়েকজন ছাত্রও রয়েছেন।