নাজিরাবাদে মৎস্য খামারের পাহারাদারকে হত্যা থানায় মামলা, জিলু মিয়া গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ৭ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
ষ্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের নাজিরাবাদ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে জিলু মিয়ার মৎস্য খামারের পাহারাদর লিটন মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় নিহত লিটন মিয়ার বড় ভাই সবুর মিয়া বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ০৫)। মামলায় মৎস্য খামারের মালিক জিলু মিয়া ও তার মেয়ে তানিয়া আক্তারকে আসামী করা হয়েছে। ৪ জানুয়ারী রাতে এই ঘটনা ঘটে। মামলার এজহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, জিলু মিয়ার মৎস খামারে পূর্বশত্রুতার জেরে কিছুদিন পূর্বে রাতের আধারে দুষ্কৃতকারীরা মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এনিয়ে মৎস্য খামারের মালিক জিলু মিয়া’র সাথে পাহারাদারের কথাকাটাকাটি হয়। খামারের মালিক জিলু মিয়া ও তার মেয়ে তানিয়া আক্তার নিহত লিটনকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় নিহত লিটন মিয়া ৪ জানুয়ারী রাতে ডিউটিতে আসেন। ৫ জানুয়ারী সকালে স্থানীয় লোকজন মৎস্য খামারে গিয়ে দেখতে পান পাহারাদার লিটন মিয়ার লাশ মাটিতে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান ও খামারের মালিককে খবর দেন। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫ শয্যা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। নিহত লিটন মিয়ার বড় ভাই সবুর মিয়া বলেন, মৎস্য খামারের মালিক ও তার মেয়ে আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন। আমরা এর সুষ্ট বিচার চাই। খামারের মালিক জিলু মিয়া বলেন, আমি ও আমার মেয়েকে ফাঁসানোর জন্য লিটন হত্যার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক বলেন, পাহারাদার লিটন হত্যাকান্ডে একটি মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে খামারের মালিক জিলু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।