এমপি হয়েই আলাদিনের চেরাগ হাতে পান নেছার
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:১৩ অপরাহ্ণ
মুহাম্মদ জাকির হোসাইন লাভলু, ষ্টাফ রিপোর্টার::
একজন তামাক ব্যবসায়ী থেকে অটো জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি)। জাতীয় সংসদ সদস্যের ক্ষমতা পেয়েই শুরু হয় তার ক্ষমতার অপব্যবহার। দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়। জাতীয় সংসদ সদস্যের পাশাপাশি তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মৌলভীবাজারের-৩ আসনের অটো এমপি নেছার আহমেদ ওরফে নাসির এর কথা বলছি। চাকরি, তদবির, বদলি, দখলবাজি সব জায়গায় তার হাত। এই এমপির অনুমতি ছাড়া মামলাও নিতো না থানা পুলিশ। টাকা কামান দুই হাতে। তিনি টাকার মেশিনে পরিণত হয়েছিলেন। টানা ৬ বছর নেছার আহমেদ ওরফে নাসির দায়িত্ব পালনকালে কয়েক’শ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। নামে-বেনামে ঢাকায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। বিভিন্ন স্বজনের নামে ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা ও ৩ শতাধিক একর জমি।
জানা গেছে, এমপি হওয়ার পর শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের পাশে রেলওয়ের জমি দখল করে করেছেন পার্ক ও আয়েশখানা। রেল থেকে নোটিশ করলেও করেননি কর্ণপাত। দুদকে অভিযোগ করেও হয়নি কোন প্রতিকার। ক্ষমতার জোরে দুদকের অভিযোগ উধাও করে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয় আভিযোগকারীকে।
অভিযোগ রয়েছে, ক্যান্সার ও কিডনি নষ্টের ভুয়া রোগী দেখিয়ে এই এমপি কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও ব্যবস্থা নেয়নি দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই জাতীয় সংসদ সদস্য তার মায়ের নামে তৈরি করেছেন মা ও শিশু হাসপাতাল। সেই শিশু হাসপাতালের জমি একোয়ার হলেও ন্যায্য মূল্য পায়নি জমির মালিকরা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিন ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি এলাকার গুণিজনের নাম না দিয়ে মন্ত্রী নিজের মায়ের নামে দেয়ায় এলাকা জুড়ে সমালোচনাও হয়েছে। মন্ত্রী হলেও নিয়োগ ও তদবির নিয়ন্ত্রণ করতো তারই পালিত ক্যাডার বাহিনী। মৌলভীবাজার জেলায় সরকারি চাকরি ভাগ্য নির্ধারণ হয় নেছার আহমেদ এমপির অফিসে। ঘুষ না দেয়ায় অনেক যোগ্য ব্যক্তিরা চাকুরি পেত না। এরকমই এক ভুক্তভোগী এন্তাজুল ইসলাম বলেন, সমাজসেবা মাঠকর্মীর জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও ৫ লাখ টাকা দিতে না পারায় চাকরিটা পায়নি। শুধু আমি না আমার মতো অনেক বেকার যুবকের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে এই এমপি। নেছার আহমেদ ওরফে নাসির বিরুদ্ধে দুদকে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। নারী পাচার সহ অনেক অনেক অপরাধের ডন হয়ে উঠেছেন এই এমপি।
উপরের অভিযোগের বিষয়ে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ বলেন, সামাজিকভাবে আমার মানসম্মান বিনষ্ট করার জন্য একটি মহল আমার পিছনে লেগেছে। এই অভিযোগের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই