মৌলভীবাজারে বড়দিন উৎসবে মেতেছেন খ্রিস্টনরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারে বড়দিন উৎসব আমেজে মেতে উঠেছেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। যিশু খিস্ট্রের জন্মলগ্ন উদযাপনে রংবেরংয়ের সাজে, আলোকসজ্জা, গোশালা তৈরি, ক্রিস্টমাস ট্রি সাজানো হয়েছে গির্জাগুলোতে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) যীশুর জন্মোৎসব পালন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে মৌলভীবাজারের কোর্ট এলাকার খ্রিস্টান মিশন। এছাড়াও সেজেছে জেলার অন্যান্য উপজেলার গীর্জাগুলো। মধ্যরাতে পবিত্র প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সকাল থেকে পুর্নমাত্রায় শুরু হবে বড়দিন উদযাপন।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা জানান, সকল ধর্মীয় উৎসবের মতো বড়দিন পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো। এই দিন গির্জায় ধ্যান প্রার্থনা সেরে প্রিয়জনদের সাথে দেখা করে শুভেচ্ছা কার্ড, উপহার এবং কেক খায়ানোর রীতি আছে। এছাড়া শিশুদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বাস বজায় রাখতে এই দিনে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বড়দিন ঘিরে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে বাড়ির গৃহিণীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। পিঠাপুলি, বিভিন্ন খাবারের আয়োজন করেছেন অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য।
বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে আসছেন জানিয়ে ভিক্টর প্রেন্ট্রিস বলেন, ‘আমরা ঘর সাজিয়েছি ক্রিস্টমাস ট্রি দিয়ে। গোশালাও তৈরি করেছি। অতিথিদের জন্য পিঠা, পায়েশসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি হচ্ছে।’
থিওফিল সুমন জানান, পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং অন্তরের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখানোর বাণী নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু খ্রিস্ট। আজ মধ্যরাতে পবিত্র প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আগামীকাল সকাল থেকে পুর্নমাত্রায় শুরু হবে বড়দিন উদযাপন।
ডোরা প্রেন্ট্রিস বলেন, ‘এই উৎসবে ধনী-গরিবে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। মানুষে মানুষে মিলন, শান্তি যেন স্থাপিত হয় গোটা বিশ্বে।’
পুরোহিত রেভারেন্ড বি বি প্রেন্ট্রিস জানান, এই দিনে যীশু ধরণীতে জন্ম নিয়েছিলেন মানুষ রূপে। সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন শান্তির বার্তা। এই বিশ্বাসেই প্রতিবছরের মতো এবারও যীশু ভক্তরা জাকজমকের সাথে দিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি শেষ করেছে।