বাংলাদেশ ঘুরে বিশ্বকাপ দেখে জার্মান ফিরবো
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
শীতের শুরুতেই এবার পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে ঢল নেমেছে বেদেশি পর্যটকদের। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন রিসোর্ট ও কটেজেগুলোতে পর্যটকদের ছিল ভিড়। জার্মান থেকে বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছেন পর্যটক স্টিপান। তিনি বাংলাদেশ ঘুরে দেখে কাতারের বিশ্বকাপ দেখে নিজ দেশ জার্মনিতে ফিরবেন।
স্টিপান বলেন, দশ মাস ধরে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করছি। বাংলাদেশে এক সাপ্তাহের বেশী সময় ধরে আছি। পুরান ঢাকার ব্যস্ততম মার্কেটগুলো আমার কাছে ভিন্ন রকম লেগেছে। সবচেয়ে ভাল লেগেছে বরিশালের নৌকার মধ্যে ভাসমান বাজারটাকে। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে দেখেছি। ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর কালচার গুলো বেশ উপভোগ করেছি। আমি অনেক দেশ ঘুরেছি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষদের ভাল লেগেছে। মানুষরা বেশি সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। সবাই স্বেচ্ছায় এসে কথা বলেন। বাংলাদেশ থেকে কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলা দেখব। এরপর দেশে ফিরবো।
স্টিপান এর মতো এমন আরো অনেক পর্যটক এসেছেন দেশের বাহির থেকে। প্রাকৃতিক সবুজ বন, হাওর ও পাহাড়ি টিলার বৈচিত্র্যময় পরিবেশের কারণে পর্যটকরা ছুটে আসেন। মনকাড়া সবুজ বন-বনানী উঁচু নিচু পাহাড় টিলার ভাঁজে ভাঁজে আছে সৌন্দর্যের হাতছানি। বিশেষ করে পাঁচতারা কয়েকটি হোটেল আর রিসোর্ট গড়ে উঠায় বিদেশিদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম মৌলভীবাজার জেলা।
শ্রীমঙ্গলের গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফের জিএম আরমান খান পূর্বদিককে বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। আমাদের রিসোর্টে সারা বছরই বিদেশী পর্যটকের আনাগোনা থাকে। শীতে যেমন পর্যটকরা আসেন বর্ষার মৌসুমেও শ্রীমঙ্গলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকরা আসেন।
শীতকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা এই অমিত সম্ভাবনার ভূমি প্রতিনিয়ত পর্যটকদের হাতছানি দেয়। শুধু মাত্র বাগানই নয়। আরো জনপ্রিয় কিছু স্থান এখন পছন্দের শীর্ষে। রয়েছে বাইক্কা বিল, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, পাথারিয়া পাহাড় ও মাধবকুন্ড জলপ্রপাত।
শ্রীমঙ্গলের চায়নিজ রেষ্টুরেন্ট ‘চামুজ্ঞ’ ম্যানেজার শংকর চত্রী বলেন, গত তিন দিনে এখানে শতাধিক বিদেশি নারী পুরুষ খাওয়া দাওয়া করেছেন। আমাদের পাশবর্তী ইকো কটেজে ও রিসোর্টগুলোতে অনেক বিদেশেী পর্যটক ছিলেন। আমাদের এখানে ব্যালজিয়াম, ফ্রান্স, আমেরিকা, চায়না, কানাডা, অস্টেলিয়া, ইতালী, জার্মান থেকে এসব পর্যটক এসেছেন।