মৌলভীবাজার পাক হানাদারমুক্ত দিবস পালিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:১৯ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক::
১৯৭১ সালের ৮ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে মৌলভীবাজার শহর শত্রুমুক্ত হয়েছিল। মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে লাল সবুজ পতাকা নিয়ে বিজয় মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এম সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। অডিটরিয়ামের ভেতর জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ নেছার আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদার (অর্থ ও প্রশাসন), সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান আবুল খয়ের চৌধুরী, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলায়মান আলী, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিনসহ অন্যন্যরা। ১৯৭১ সালের এইদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মরণ পণ লড়াই করে পাক হানাদার বাহিনীকে মৌলভীবাজার থেকে বিতাড়িত করে শত্রুমুক্ত করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের বহুমুখী মরণ পণ লড়াই ও ভারত থেকে মুক্তি বাহিনী ক্রমশ ক্যাম্প অভিমুখে এগিয়ে আসার খবরে পাক বাহিনী ভীত হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৮ই ডিসেন্বর ভোরে মনুব্রিজসহ বিভিন্ন স্থাপনা পাক বাহিনী ধংস করে তারা শেরপুর হয়ে সিলেটের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর মুক্ত হয় মৌলভীবাজার শহর। ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে হানাদার বাহিনীর সৃ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাসহ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু। ৭১ সালের ৩০শে এপ্রিলের পর থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ৭ই ডিসেন্বর পর্যন্ত রাজাকারদের সহায়তায় মৌলভীবাজারে হত্যা করেছিল অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরাপরাধ মানুষকে। মৌলভীবাজার মুক্ত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারামিয়া, জমির মিয়া, নীরোধ চন্দ্র রায়, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মন্নান, উস্তার উল¬াহসহ কয়েক শত নারী-পুরুষ শহীদ হন। মৌলভীবাজারমুক্ত দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনগুলো পৃথক পৃথব আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করেছে।