যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিবির নেতা সহ জামায়াত ও বিএনপি’র নেতাকর্মীর উপর মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ নভেম্বর ২০২২, ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
ষ্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্য গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ ৫ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনায় এসআই মো: মুখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ১৬/৩৩৬)। মামলায় একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামায়াত নেতাকেও আসামী করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর সকালে মৌলভীবাজার চৌমুহনাস্থ শমশেরনগর রোডে এই ঘটনা ঘটে।
মামলার এজহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এসময় যানজট সৃষ্টি হলে পুলিশ বিএনপি নেতাদের লিফলেট বিতরণে বাঁধা দেয়। এনিয়ে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাদের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য এসআই ইমতিয়াজ সরকার, এসআই আবু নাইয়ুম মিয়া, এসআই কাঞ্চন দাশ ও এএসআই জহুরুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হন। তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলেন, রুবেল আহমদ, জাকির হোসেন, তাজুদ চৌধুরী, সাব্বির আহমদ ও শাকিল মিয়া। আটককৃতদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরও ৮ জনের নাম উল্লেখ করেন। তারা হলেন, মো: শাহেদ মিয়া, আল-আমিন, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, মো: রিপন মিয়া, জাকির হোসেন, সেলিম মিয়া, মামুন আহমদ ও মাহমুদ মিয়া। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামী করা হয়।
জানা যায়, জামায়াত নেতা আব্দুস সামাদ চৌধুরী যুক্তরাজ্য প্রবাসী। প্রবাসে থাকার পরেও আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে আসামী করেছে।
এবিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করছিল। এসময় পুলিশ অগ্রণতান্ত্রিকভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে এবং মিথ্যা মামলা দেয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে লিফলেট বিতরণ করছিল। এ সময় পুলিশ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে আমাদের ৪জন পুলিশ সদস্য গুরুত্বর আহত হন। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এঘটনায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।