সিলেটের গণসমাবেশে গণজোয়ারের সৃষ্টি হবে: ময়ূন
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা দেখে সরকার দিশাহারা হয়ে গেছে। তারা জনগণের প্রতিবাদ থামিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন দেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ১৯ নভেম্বর সিলেট শহরে বিএনপির গণসমাবেশে মানুষের ঢল নামবে। সিলেটবিভাগের মানুষ প্রমাণ করবে, তারা আর এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট নিশিরাতের ভোটের সরকারকে চায় না।
রোববার বিকেলে শহরের একটি হোটেলে জেলা শ্রমিকদলের উদ্যোগে আগামী ১৯ নভেম্বরের সিলেটের গনসমাবেশে যোগদান ও সফল করার লক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বক্তৃতায় ময়ূন আরও বলেন, সিলেটের গণসমাবেশের পর বিজয়ের মাসে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ থেকে সরকার পতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বর মাস হবে সরকারের বিদায় ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাসে জনগণের বিজয় হবে।
ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দলীয় ক্যাডারদের হামলা, পরিকল্পিতভাবে যান চলাচল বন্ধ করা, পুলিশি গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনা যত বাড়ছে, বিএনপির কর্মসূচিতে ততই জনস্রোত বাড়ছে। সিলেটের গণসমাবেশেও গণজোয়ারের সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার লাগামহীন লুটপাট করে দেশে দুর্ভিক্ষ নিয়ে এসেছে। মানুষ এখন দুবেলা পেট ভরে খেতে পারছে না। দেশে খাদ্যসংকট, রিজার্ভসংকট দেখা দিয়েছে। জনগণ এ দশা থেকে মুক্তি চায়। তাই জনগণের ন্যায্য দাবি, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছে বিএনপি।
মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রসিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিমের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইসলাম উদ্দিন, সদর উপজেলা সভাপতি কয়েছ আহমদ, শ্রমিকদল নেতা সালেহ আহমদ, মোহাম্মদ আলী,এম এ সালাম,মোস্তাকিন আহমেদ,আনোয়ার হোসেন,হারুনুর রশিদ হারুন,ভুলু মিয়া,নজরুল ইসলাম, রাজা মিয়া,শহীদ আহমদ,এরশাদ মিয়া ও সবীর আহমদ।