নারিকেলে দাঁত আটকে যায় গন্ধগোকুলের, এখন সেবা ফাউন্ডেশনে
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২২, ৭:১২ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিনিধি:
নারিকেলের খেতে এসে দাঁত আটকে যায় গন্ধগোকুলের। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে গন্ধগোকুলটি। এখন চিকিৎসা চলছে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে।
বুধববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কালিঘাট রোডস্থ ‘তফাদার ভিলা’ বাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার গন্ধগোকুলটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে নির্দিষ্ট বনে অবমুক্ত করা হবে।
বাসার মালিকের মেয়ে তফাদার সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, গন্ধগোকুলটি এক বছর ধরে আমাদের বাসার একটি আম গাছে থাকতো। সন্ধ্যার সময় বের হতো, তখন আমরা প্রায় সময় দেখতে পেতেম। আজকে সকালে নিচে নেমে ছোট নারিকেল কামড় দেয় খাওয়ার জন্য। এসময় দাঁতে আটকে যায়। সেটা দেখে আমার আব্বু বাঁশ দিয়ে গন্ধগোকুল এর দাঁত থেকে নারিকেলটি ছুটালে তখন হিংস্র হয়ে আমার আব্বুর দিকে ধেয়ে আসে, আমরা সাথে সাথে ঘরে ঢুকে যাই। দেখে মনে হলে একটু অসুস্থ, মনে হয় বাচ্চা জন্ম দেবে। পরে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে অবগত করি। তারা এসে গন্ধগোকুলটিকে নিয়ে যায়।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, খবর পেয়ে আমরা কালিঘাট রোডস্থ একটি বাসা থেকে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে বন বিভাগকে সাথে নিয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করি। পরে সেটিকে বন বিভাগের কাছে দেওয়া হয়। সুস্থ করে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হবে।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র জানান, আজ সকালে একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এই গন্ধগোকুলটি লোকালয় ও বনের আশেপাশে মানুষের আবাসস্থলে বেশীর ভাগ তাদের বসবাস। এরা গভীর জঙ্গলে খুব কম থাকে। মানুষের বাসা বাড়িতে থেকে তারা বাচ্চা জন্ম দেয়। তারা গভীর জঙ্গলে ও থাকে না আবার জঙ্গলের অনেক দূরেও থাকে না। জঙ্গল ও লোকালয়ে মানুষের আবাসস্থলের পাশাপাশি থাকে। এরা মূলত বাচ্চা দেওয়ার টার্গেট করেই বাসার আশেপাশে অবস্থান নেয়। গন্ধগোকুলটি একটু অসুস্থ আছে, আমরা দু-একদিন জানকি ছড়া রেসকিউ সেন্টারে রেখে সুস্থ করে বনে অবমুক্ত করবো।