সড়কের দস্যু তারা, আটকা পড়লেন পুলিশের জালে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ অক্টোবর ২০২২, ৬:৩০ অপরাহ্ণ
ওমর ফারুক নাঈম, নিজস্ব প্রতিবেদক::
সড়কে গাড়ি আটকিয়ে ডাকাতি করেন তারা। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে চলছে তাদের এই দস্যুতা। মৌলভীবাজার জেলার গহীন সড়কগুলোতে গাছ ফেলে ডাকাতি করেন বেড়ান তারা। এবার আটকা পড়লেন পুলিশের জালে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার এসপি অফিসের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আন্ত: জেলা ডাকাত দলকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
জেলা পুলিশ জানায়, ডাকাতদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের সর্বমোট ১৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৪টি দা, রামদা, তলোয়ার, কিরিজ, ছুরি, হাতকরাত জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, হত্যা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- সুনামগঞ্চের দায়ারাবাজারের বশির আহমেদ (৩৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের মোঃ আবুল হোসেন (৩৫), কুলাউড়ার আলালপুরের কইনুল ইসলাম (২৫), চুনারুঘাটের পাইকপাড়ার সবুজ মিয়া (৫০), কমলগঞ্জের ইসলামপুরের লোকমান মিয়া (৩০), আরিফ মিয়া (৪২) ও আব্দুল মালিক (২৮)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, এরা দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে ডাকাতি করে আসছে। বিশেষ করে লাউড়াছড়া ও তার আশপাশ এলাকায় গাছ ফেলে তারা ডাকাতি করতেন। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে লাউয়াছায়া তেরা ব্রীজ সংলগ্ন মুজিব উর্তি নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখানে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গাছ ফেলে পথচারীদের গাড়ী আটকিয়ে যাত্রীদের সাথে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিস পত্র লুঠ করে। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে এই ডাকাতি চলে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় কমলঘঞ্জ থানায় মামলা হয়। এরপরই আবার হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের মধ্যবর্তী স্থানে মহাসড়কে ডাকাতির হয়।
তিনি বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ অনুসন্ধ্যানে নামে। প্রযুক্তির সহযোগিতায় আমরা এখন পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি কারা কারা জড়িত ছিল। তাদের তথ্যও আমাদের কাছে আছে, পুলিশ দ্রুত তাদেরকেও গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে মোঃ সবুজ মিয়া ডাকাতির ঘটনায় ১৫ জনের জড়িত থাকার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এই দল শুধু সড়কেই ডাকাতি করে।
পুলিশ সুপার বলেন, লাউয়াছড়া বন এলাকায় আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কমলগঞ্জ থানার পুলিশ দল টহল দেয়। আমরা খবর পেয়েছি আশপাশের গ্রামে ডাকাত দল বিভিন্ন সময় অবস্থান করে ডাকাতি করে। স্থানীয় গ্রামের মানুষও ডাকাতির সাথে জড়িত কিনা আমরা খতিয়ে দেখব। এই এলাকা রাতে অন্ধকার থাকে সেখানে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে লাইটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত হবে। এরজন্য সকলে সচতনভাবে কাজ করতে হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, লাউয়াছড়া বন এলাকায় আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কমলগঞ্জ থানার পুলিশ দল টহল দেয়। আমরা খবর পেয়েছি আশপাশের গ্রামে ডাকাত দল বিভিন্ন সময় অবস্থান করে ডাকাতি করে। স্থানীয় গ্রামের মানুষও ডাকাতির সাথে জড়িত কিনা আমরা খতিয়ে দেখব। এই এলাকা রাতে অন্ধকার থাকে সেখানে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে লাইটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত হবে। এরজন্য সকলে সচতনভাবে কাজ করতে হবে।