দুর্গাপূজার আগে বকেয়া মজুরি চান চা-শ্রমিকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৮:০০ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার আগে বকেয়া মজুরি এবং পূর্ণ উৎসব বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়েছে চা-শ্রমিকরা। চা-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে এমন দাবির কথা জানান চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন অন্যথায় চা-শ্রমিকরা অতীতের মতো দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন সংগ্রাম পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হবেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী বলেন, আগষ্ট মাসে দীর্ঘ ১৯ দিনের লাগাতার কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ, রাজপথ-রেলপথ অবরোধের মতো কঠিন সংগ্রামের পর গত ২৭ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।২০২১ থেকে ২০২২ সাল মেয়াদের জন্য মজুরি ১৭০ টাকা হিসেবে বর্ধিত ৫০ টাকার (১৭০ থেকে ১২০ টাকা) গত ২০ মাসের মজুরির এরিয়ার জনপ্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যে বাজারে ১৭০ টাকা মজুরি নিতান্তই কম।
তিনি বলেন, তারপরও চা-শ্রমিকরা যখন অধীর অপেক্ষায় বকেয়া মজুরির এরিয়ার টাকা এবং পূর্ণ উৎসব বোনাস পাওয়ার আশায় আছেন তখন ১৬ সেপ্টেম্বর চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা-সংসদের পক্ষ থেকে এক দূরভিসন্ধিমূলক পত্র দিয়ে চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি থেকে বঞ্চিত করা ও উৎসাহ বোনাসকে উৎসব বোনাস হিসেবে চালিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।
সংগঠনটির যুগ্ম-আহবায়ক শ্যামল অলমিক বলেন, বরাবরের মতো মালিকদের স্বার্থরক্ষায় সহযোগিতার ভূমিকার পালন করছেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এমন কি আগামী জানুয়ারিতে যাতে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি না করে মালিকপক্ষ পার পেয়ে যায় তারও দুরভিসন্ধি চলছে।আমরা চা-শ্রমিক সংঘ আসন্ন দুর্গার পূজার আগে সকল শ্রমিকের বকেয়া মজুরি এবং পূর্ণ উৎসব বোনাস প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় চা-শ্রমিকরা নিকট অতীতের শিক্ষায় বকেয়া মজুরি, আইনসম্মত উৎসব বোনাস এবং ন্যায্য মজুরির দাবিতে আবারও আন্দোলন সংগ্রাম পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হবেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক সবুজ গৌড় বলেন, যেহেতু সামনে চা বাগানের জনগোষ্ঠীর বৃহৎ একটি উৎসব আসছে। এই মুহূর্তে মানবিক দিক দিয়েও উচিত তাদের বকেয়া সহ যেসব দাবি আছে সেগুলো পূরণ করা।
উল্লেখ্য আগামী ১ অক্টোবর থেকে হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু হবে এবং চা-বাগানের অধিকাংশ শ্রমিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী।