আবাসন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের দাবি চা শ্রমিকদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক::
চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও আবাসন সংকট, চিকিৎসা ব্যয় ও শিক্ষা ব্যয় মেটাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা।
বাগান কর্তৃপক্ষ সকল দাবি পূরণে সহযোগিতার কথা জানালেও শ্রমিকরা জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। শ্রমিকদের দাবি যে পরিমাণ রেশন, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা দেয়া হয় তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এসব খরচের অনেকটাই তাদের মজুরি থেকে মেটানো হচ্ছে বলেও জানান তারা।
চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও শ্রমিকদের আবাসন সংকট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা সেবার ব্যায় মাটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের দারাগাও চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক ৭০০ এবং অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৩০০ জন।
শ্রমিকদের দাবি, স্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা দেয়া হলেও অস্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি এখনো ৮০ টাকা রয়েছে। বাগানে কোন মেডিকেল অফিসার না থাকায় বাহির থেকে তাদের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে তুলতে মজুরি থেকেই তাদের ব্যয় করতে হচ্ছে। জেলায় ২৪টি চা বাগানে প্রায় ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করে আসছে। বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন চা শ্রমিকরা।
চুনারুঘাটের দারাগাও চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি প্রেমলাল আহেরি বলেন, বাগান মালিকদের টালবাহানা রোগের তদন্ত করার প্রয়োজন।
দারাগাও চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার ফরিদ উদ্দিন শাহীন জানান, শ্রমিকদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।