কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা, বাগানে প্রাণের সঞ্চার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০২২, ২:০১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
নতুন মজুরি ১৭০ টাকা ঘোষণার পর মৌলভীবাজারের চা বাগানের চা শ্রমিকরা কাজে নেমেছেন। তবে রোববার দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকার কারণে অনেক বাগানেই চা শ্রমিকরা কাজে নামেননি।
রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকেই শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেরিন, জঙ্গলবাড়ি, ভাড়াউড়া, ফুলছড়া, খাইছড়া, হোসেনাবাদসহ বেশ কিছু চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে সকল বাগানের চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবেন বলে জানা গেছে।
ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক দুলাল হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা তাই মেনে নিয়েছি। আমরা এখন বাগানের জন্য কাজ করবো। যদিও ১৭০ টাকায় আমাদের এই সময়ে চলাফেরা কষ্ট হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাই আমরা কাজে নেমেছি।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা তা মেনে নিব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মালিকদের সাথে বসে মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। তাই আমরা আজ থেকেই কাজে নেমেছি।
ফিনলে টা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, আমাদের চা বাগানের শ্রমিকরা সবাই কাজে নেমেছেন। সবাই কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চা শ্রমিকরা নতুন মজুরি ১৭০ টাকা পাবেন। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী তাদের পিছনে বাগানের দৈনিক ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ১৬৭ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ৪ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাতদিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু মালিক পক্ষ এ সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সমাধানে হচ্ছিলো না। ২৭ আগস্ট রাতে প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের সাথে বৈঠকে বসে নতুন মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। এরপরে কাজে ফেরার আশ্বাস দেন চা শ্রমিকরা।