বড়লেখায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক তরুণী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০২২, ৯:০০ অপরাহ্ণ
বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এরিকা খাসিয়া (১৮) নামের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রবিবার (১০ জুলাই) সকালে এরিকার বাবা এলিয়েট খাসিয়া বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- গান্ধাই পুঞ্জির বাসিন্দা তাম খংলার ছেলে লুসাই খংলা (৩০) ও বড়লেখা উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামকান্দি গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে জামিল হোসেন (২৯)। মামলার পর বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ নম্বর আসামি লুসাই খংলাকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়রা ৭ জুলাই রাত ১২ টার দিকে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামকান্দি গ্রামের ফয়জুর রহমানের বাড়ির পাশের রাস্তায় ওই তরুণীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। লাশ দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই সকালে গান্ধাই পুঞ্জির তাম খংলার ছেলে লুসাই খংলা তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তকে গুম ও হত্যা করারা হুমকি দিয়ে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় ওই তরুণী নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হয়ার পর পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামকান্দি গ্রামের ফয়জুর রহমানের বাড়ির পাশের রাস্তায় রাত ১২ টার দিকে ঐ তরুণীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। হাজী পুতুল মিয়া লাশ পাওয়ার বিষটি পুলিশকে জানান। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার সোমবার (১১ জুলাই) বলেন, ‘তরুণীর বাবা বাদী হয়ে গত রবিবার (১০ জুলাই) দুইজনের নামে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছেন। রবিবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ মামলার এজাহার ভুক্ত ২ নম্বর আসামি লুসাই খংলাকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার ১ নাম্বার আসামি বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি । তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। থানার ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া লুসাই খংলাকে গত সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মামলার ১ নম্বর আসামি উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামকান্দি গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে জামিল হোসেনের পরিবারের দাবি তাকে মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী পুতুল মিয়ার ভাই সামু মিয়ার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জামিলের বিরোধ আছে। এরই জেরে প্রতিশোধ নিতে জামিলকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কামনা করছি।’