কামারচাকে নৌকার প্রার্থী কে?
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ৭:২৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের রাজনগরে রাজনগরে ইউপি নির্বাচনে বারবার নৌকার প্রার্থী বদল নিয়ে শুরু হয়েছে হই-চই। সাধারণ ভোটারদের মাঝে এনিয়ে দেখা দিয়েছে চরম উৎকণ্ঠা। কে আসলে নৌকার প্রার্থী।
এদিকে শনিবার প্রার্থী বাছাইয়ের দিন কামারচাকে নৌকা প্রত্যাশী মো. আতাউর রহমান দলীয় প্যাডে তার মনোনয়নের প্রত্যয়ন জমা দিয়েছেন। এনিয়ে রাজনগর উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে কামারচাক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি নজমুল হক সেলিমের প্রার্থীতা বাতিল করেছেন ওই ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকাতা। এছাড়াও টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকমল হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মোট ১০৪টি পদের জন্য ৪৬২ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন চেয়ারম্যান, ৩২৬ জন সাধারণ সদস্য ও ৯৬ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে কামারচাক ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিমের নাম উল্ল্যেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরদিন বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের উপজেলা আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমানকে মনোনয়ন দিয়ে দলীয় প্যাডে একটি প্রত্যয়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠে। এ প্রত্যয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গত বৃহস্পতিবার সকালে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মো. আতাউর রহমান। পরে ওই দিনই নজমুল হক সেলিম দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে প্রত্যয়নসহ মনোনয়ন জমা দেন। একই ইউনিয়নে দুই প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মনোনয় জমা দেয়ায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।
এদিকে গতকাল সোমবার মনোনয়ন পত্র বাছাইর দিনে মো. আতাউর রহমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদলের চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্মার কাছে দাখিল করেন। কামারচাক ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে বর্তমান চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিমের মনোনয় আপিলের সুযোগ দিয়ে বাতিল করেন। এনিয়ে উপজেলা বিআরডিবি কার্যালয়ের আশেপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অপরদিকে রাজনগরের টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আকমল হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। একটি খেলাপি ঋণের জামিনদার থাকায় তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, টেংরা ইউনিয়নে আকমল হোসেন ও কামারচাক ইউনিয়নে নজমুল হক সেলিমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। কামারচাকে দুজন প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রত্যয়ন নিয়ে মনোনয় জমা দিয়েছিলেন। একজনের বাতিল করা হয়েছে।