দুর্গা পূজায় উৎসব বোনাস চান মৌলভীবাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ অক্টোবর ২০২১, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইন অনুযায়ী হোটেল-রেস্টুরেন্টে কর্মরত সকল হিন্দু শ্রমিকদের উৎসব বোনাস ও ছুটি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মৌলভীবাবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তারেশ চন্দ্র দাস সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, হিন্দুদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা আসন্ন। এই ধর্মীয় উৎসব স্ব স্ব ধর্মাবলম্বী সকল শ্রেণি পেশার জনগণের নিকট আনন্দের বার্তা নিয়ে আসলেও হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের সব সময় এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়। কারণ দুর্গা পূজায় হিন্দু হোটেল-রেস্টুরেন্ট মিস্টি শ্রমিকরা কোন উৎসব বোনাস পান না। এমন কি অধিকাংশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের পূজায় কোন ছুটিও প্রদান করা হয় না, বরং দুর্গা পূজায় অধিকাংশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট মিস্টি কারিগর শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। আর যে সকল শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয় তাদের ছুটির দিনের মজুরিও দেওয়া হয় না।
এছাড়া করোনার কারণে সরকারি বিধিনিষেধে দীর্ঘদিন হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় মালিকরা বিনাবেতনে শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ঐ সময় মালিকরা হোটেল শ্রমিকদের একটি টাকাও মজুরি পরিশোধ করেননি। শ্রমিকদের দুঃসময়ে মালিক বা সরকার কেউই শ্রমিকদের খোঁজ নেয়নি। বর্তমানে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোললে সকল শ্রমিককে কাজে নেওয়া হয়নি। আবার যাদের কাজে নেওয়া হয়েছে তাদের অনেকের কর্মঘন্টা বৃদ্ধি ও মজুরি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক সময়েই হোটেল শ্রমিকরা যে মজুরি পান তা দিয়েই পরিবার-পরিজন নিয়ে ১০ দিনও চলতে পারেন না। তার উপর বর্তমানের চাল, ডাল, তেল, লবন, চিনিসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন উদ্ধগতির পাশাপাশি বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুত, ঔষুধপত্রের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধি শ্রমজীবী জনগণের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এমতবস্থায় হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজায় মাসিক বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদানের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন শ্রমিকরা।