বিচ্ছেদের ২৫ বছর পর শ্বশুর বাড়ি গিয়ে লাশ হলেন বৃদ্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৫:২০ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারে বিচ্ছেদের প্রায় ২৫ বছর পর শ্বশুর বাড়ি গিয়ে লাশ হলেন ষাট বছরের এক বৃদ্ধ।
সোমাবর (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষারে বাড়ির পাশের সবজির ক্ষেত থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই ছেলেকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ স‚ত্রে জানা যায়, কুলাউড়া থানার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বিজলি গ্রামের মৃত রশিদ খান এর ছেলে ফরজান খাঁন (৬০) সাথে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে পতনউষারের টিলাগড় গ্রামের ছমসুন বেগমের সাথে বিবাহ হয়। স্বামী ফরজান খাঁন বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কারণে এ নিয়ে সংসার জীবনের কলহের সৃষ্টি হয়। এর জেরে বিয়ের ৫ বছর এর মাথায় সংসার জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। তাই ছমসুন বেগম তাদের সংসারে ৩ সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ী পতনউষারে টিলাগড় গ্রামে চলে আসে। এদিকে সংসার বিচ্ছেদের পর ফরজান দ্বিতীয় বিয়ে করেন কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ছনগাঁও গ্রামে। সন্তানদের দেখতে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে আসতেন ফরজান।
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে রোববার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তিনি শ্বশুর বাড়ি আসার পর তাকে মারা হয়। মেরে বাড়ির পিছনের ফসলি ক্ষেতের জমিতে তার লাশ ফেলে দেয়া হয়। লাশ উদ্ধারের সময় মৃত ব্যক্তির গাঁয়ে সাদা গেঞ্জি ও আকাশি রঙের পুল শার্ট ও লুঙ্গি পড়া ছিল। লাশের শরীরের কোথায় আঘাতের আলামত পাওয়া না গেলেও মাথায় এবং গেঞ্জিতে রক্তের দাগ পাওয়া যায়।
পতনঊষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক আহমেদ বাবু জানান, সকালের সংবাদ পেয়ে পুলিশকে খবর দেই। সবজি ক্ষেত থেকে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোশাররফ হোসেন জানান, সকালে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধের লাশ সবজির ক্ষেতে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের পাশ থেকে ধান কাটার কাঁচি, কাপড়ের বেগ, মোবাইল ফোন, নগদ ২০ টাকা ও বিড়ি পাওয়া গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়াদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফরজান খাঁনের ছেলে সোহেল (২৫) ও শাহিন (২০) কে জিঞ্জাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।