অনলাইনে প্রতারণার শিকার মৌলভীবাজারের তরুণীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৩:৪৭ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার::
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষাক কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তরুণীরা। চটকদার অফার ও বিজ্ঞাপন দেখে পোষাক অর্ডার করে পাচ্ছেন না কাঙ্খিত পণ্য। সামাজিক মাধ্যমের এই সকল পেইজের দায়বদ্ধতা না থাকায়, তারা প্রতিনিয়ত প্রতারণ করে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুককে প্রতারণতার মাধ্যম হিসেবে বেচে নিয়েছে প্রতারক চক্র। অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণীদের আকৃষ্ট করে তারা। এই ফাঁদে পা দেন তরুণীরা। ‘নিউ লেহেঙ্গা বাজার’ নামে একটি ফেইসবুক পেইজে ০৭ কোড এর লাল রঙের লেহেঙ্গা অর্ডার করেন মানসুরা সারাহ। ৩০ মার্চ অর্ডার কনফার্ম করি। লেহেঙ্গার দাম ১৬’শ টাকা ও ডেলিভারি চার্জ ববাদ আরো ১৫০ টাকা এসএ পরিবহনে টাকা পেমেন্ট করি। পার্সেলটি হাতে পাওয়ার পর প্যাকেট খুলে প্রত্যাশিত পণ্য পান নি তিনি।
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মানসুরা সারাহ পূর্বদিককে বলেন, “নিউ লেহেঙ্গা বাজার’ নামের পেইজে একটি লেহেঙ্গা পছন্দ হয়। আমি তাদেরকে ইনবক্সে দাম জিজ্ঞাসা করলে তারা ১৬’শ টাকা চান। এরপর তারা আমার ঠিকানা নেয়। এরপর অর্ডার কনফার্ম করার জন্য বলেন। আমি পরের দিন অর্ডার কনফার্ম করি। এরপর অর্ডার এসএ পরিবহনে আসে। আমি টাকা পেমেন্ট করে প্যাক খুলে দেখি, আমি যেটি অর্ডার দিয়েছি সেটা নয়। একটা নিম্নমানের শাড়ি এসেছে। আমি সাথে সাথে কল দিয়েছে। অভিযোগ দিলে তারা বলেন, ভূলবশত এটা হয়েছে। এরপর আমি তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা আর আমাকে লেহেঙ্গাটি পাঠায়নি”।
জারা কালেকশন নামে একটি ফেইসবুক পেইজে ড্রেস অর্ডার করেন মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার মহসিনা রহমান সাকি। তিনি একইভাবে প্রতারণার শিকার হন। তিনি পূর্বদিককে বলেন, আমি জারা কালেকশন দুইটি ড্রেস অর্ডার করি। একেকটির দাম ১১’শ টাকা। দুই দিন পর অর্ডার এসএ পরিবহনে আসে। টাকা পেমেন্ট করে পার্সেল রিসিভের পর দেখতে পাই, অন্য আরেকটি নি¤œমানের ড্রেস পাঠিয়েছে। যার দাম সর্বোচ্চ ৫শত টাকা হবে। ওই পেইজটি আমার সাথে প্রতারণা করে। পরে একাধিকবার তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও আমার প্রত্যাশিত ড্রেসটি ফিরে পাইনি।
‘নিউ লেহেঙ্গা বাজার’ পেইজের মামুন বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখে জানাবো’। এরপর পেইজটির ০১৯৩৯-৩৮৪৬১২ নাম্বারে যোগাযোগ করলে কল রিসিভ হয়নি। জারা কালেকশন পেইজের ০১৯০৭-১৩৩১৮৩ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ কররেও কল রিসিভ হয়নি।
রোস পেটাস এর উদ্যোক্তা তানজিনা আক্তার রেশমি পূর্বদিককে বলেন, ব্যবসায় সততার বিকল্প নেই। কিন্তু অনেক অসৎ ব্যবসায়ীরা এইভাবে প্রতারণ করে আসছেন। এই সকল প্রতারক পেইজের কারণে অনলাইনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমছে। এসকল প্রতরক পেইজগুলোর বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে মানুষের আরো আগ্রহ বাড়তো। ফেইসবুক হতে পারতো বাণিজ্যের নতুন দ্বার।
এবিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের উপ-পরিদর্শক আতিক পূর্বদিককে বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ নামে ফেইসবুকে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো। সাইবার অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।