শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সৈয়দ মহসীন আলীকে স্মরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার::
প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা ও বীরমুক্তিযুদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দোয়া মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছ সৈয়দ মহসীন আলী ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) মাজার প্রাঙ্গণে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, আওয়ামীলীগ, মৌলভীবাজার পৌরসভা, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং পরিবারের সদস্যরা।
সৈয়দ মহসিন আলী ১৯৪৮ সালের ১২ ডিসেম্বর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আশরাফ আলী। মায়ের নাম আছকিরুনন্নেছা খানম। পাঁচ ভাইদের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন।
ছাত্র জীবনেই মহসিন আলী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭১ সালে ২৩ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সম্মুখসমরে যুদ্ধ চলাকালে গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে আরো সক্রিয় হয়ে পড়েন। রাজনীতির বাইরে সৈয়দ মহসীন আলী একজন সমাজিক সংগঠক ও সাংবাদিক ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মহসীন আলী মৌলভীবাজার মহকুমা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৪ সাল থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভায় পরপর তিন বার বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে। এরপর সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় ২০০৮ সালে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ২০১৪ সালে আবারো এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর একই বছর ১২ জানুয়ারি তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।
দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেন।
মহসীন আলী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমিন জানান, আব্বা ফুলের শহর গড়ার স্বপ্ন নিয়ে গাছ লাগানো শুরু করেছিলেন। তাই আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যারা তার অসম্পূর্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নিয়ে গাছ লাগানো হবে। এছাড়া মৃত্যুবার্ষিকীর পরের দুই দিন ভার্চুয়াল ও সরাসরি দুটি শোকসভা হবে। এতে সরকার ও আওয়ামীলীগের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গরা অংশ নিবেন।