কমলগঞ্জে দরিদ্র বিধবার বাড়ির রাস্তা কেটে অবরুদ্ধ, থানায় অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০২১, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
কমলগঞ্জে অসহায় দরিদ্র বিধবা মহিলার বাড়ির রাস্তা কেটে জোরপূর্বক দখল করে অবরুদ্ধ করেছে প্রতিবেশীরা। এ নিয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের জানানোর পর রাতে বিধবার বাড়ি থেকে ১০টি গাছ কর্তন শেষে তাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। আহত বিধবাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আদমপুর ইউনিয়নের কাটাবিল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার রাতে কাটাবিল গ্রামের অসহায় দরিদ্র বিধবা সুবেদা বেগমের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কেটে জমির সাথে মিশিয়ে দেয় প্রতিবেশী মদরিছ মিয়ার ছেলে ইদ্রিছ মিয়া (৪০) সহকতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা। তারা বিধবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা কেটে কলাগাছ লাগিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে স্বামীহারা দরিদ্র সুবেদা বেগম বাড়ির ভিতর অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছেন।
স্থানীয়রা জানান, একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে প্রতিবেশি ইদ্রিস আলী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে বিধবা বাড়ির রাস্তা কেটে কলাগাছ লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনার বাড়ির মালিক সুবেদা বেগমের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের সহযোগীতা কামনা করেন।
সুবেদা বেগম বলেন, প্রায় ৬ মাস থেকে প্রতিবেশি সন্ত্রাসী ইদ্রিছ আলী তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়িছাড়া করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বেশ কিছু জমি ইদ্রিছ আলী ভোগদখল করছে। এরমধ্যে বাড়ির প্রবেশ পথের রাস্তাটি কেটে জমিতে পার্শ্ববর্তী খাস জমিতে মিশিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর চেয়ারম্যান ও থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ এসে রাস্তা খুলে দিতে বলে।
এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যান একাধিকবার সালিশ করলে সন্ত্রাসীরা তাদের কথা শুনতে চায়নি। দ্বিতীয় দফা ১০টি গাছ কেটে ফেলে। এতে বাঁধা দিলে মারধোর ও নির্যাতন করে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অভিযোগক্ত ইদ্রিছ আলীকে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী আখারুন বেগম বলেন, এটি রাস্তা নয়, জমিতে কলাগাছ রোপন করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, শীঘ্রই বিধবার রাস্তা উদ্ধার করে দেওয়া হবে। নির্যাতনের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।