মৌলভীবাজারে মারধরের পর স্ত্রীর চুলের খোপা কেটে দিলেন স্বামী
প্রকাশিত হয়েছে : ১ আগস্ট ২০২১, ২:৫৭ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারে মারধরের পর স্ত্রীর চুলের খোপা কেটে দিয়েছেন স্বামী। সুহিনী নামের (২৩) এই গৃহবধুর চুলের খোপা কেটে তিনদিন ঘরের ভেতর নজরবন্দি করে রেখেছিল স্বামীর পরিবারের লোকজন। পরে খবর পেয়ে স্ত্রীর স্বজনরা তাকে বিচলিত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজনগরে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ জুলাই শনিবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে। এ ঘটনায় (২৬ জুলাই) মৌলভীবাজার মডেল থানায় স্বামীসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
এক সন্তানের জননী সুহিনীর অভিযোগ, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের ইয়াজ মিয়ার ছেলে সুহেল মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার সুখেই কাটছিল। তাদের সাড়ে ৩ বছর বয়সের এক কন্যা সন্তানও আছে। বছর তিনেক ধরে সিএনজি চালক স্বামী সুহেল প্রায়ই তাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার চাপ দেন। স্বামীর চাপাচাপিতে বাবার বাড়ি থেকে ঋণ করে ২০ হাজার টাকা এনেও দেন সুহিনী। কিন্তু পরে সুহেল আর তা পরিশোধ করতে পারেন নি। পরবর্তীতে আরো টাকা এনে দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিলে তিনি আর তা দেননি বলে তার উপর নির্যাতন চালান।
সুহিনী বলেন, ‘আমি আমার কোলের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কিছু সহ্য করি। এরপর তিনি শুরু করেন মদ-গাঁজা ও নিশিবধুদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা। আমি বাধা দিলে আমার উপর চলে নির্যাতন। ধারাবাহিক নির্যাতনের একপর্যায়ে গত ২৪ জুলাই আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আমার চুলের খোপা কেটে ঘরের ভেতর নজরবন্ধি করে রাখেন। আমার তিন বছরের শিশু সানিয়া কান্নাকাটি করায় পাশের বাড়ির লোকজন এসে আমার স্বজনদের খবর দেয়। পরে আমার ভাইরা ও আত্মীয় স্বজন মিলে আমাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে আমি মৌলভীবাজার মডেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ ইয়াছিনুল হক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।