কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের ঘুষিতে এক ব্যক্তি নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২১, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে তজমুল আলীর ছেলে জুয়েল আহমেদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি শিংলাউলী গ্রামের তজমুল আলীর ছেলে। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
আজ ২১ জুন সোমবার দুপুর ১২টায় শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়কের রাফসান ফুড এর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শমশেরনগর বাজারের সিএনজি চালক আহাদ মিয়ার পরিবারের সাথে একই এলাকার মুকুল মিয়ার পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরে আহাদ মিয়ার সদ্য বিদেশ ফেরত ছেলে মুন্না মিয়া ও তার আত্মীয় তুরন মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক মুকুল মিয়ার ছেলে বাপ্পাকে মারধোর করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ও সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল মোহিত সামাজিকভাবে বসে এ ঘটনার সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ ঘটনার জের ধরে শমশেরনড়র চৌমোহনা সিএনজি অটোচালক সমিতিরি দুজন চালকের সাথে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে প্রতিপক্ষের কিল ঘুষিতে শিংলাউলী গ্রামের তজমুল আলীর ছেলে জুয়েল আহমেদ (৪৫) মাটিতে পড়ে যান। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্না সিনহা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহতের চাচাতো ভাই সোহেল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সিএনজি অটো চালক মুন্না মিয়া ও তুরণ মিয়াসহ একটি সংঘবদ্ধ দল সকালে প্রথম দফা জুয়েলের বন্ধুর ছেলে বাপ্পাকে মারপিট করে। পরবর্তীতে আবার তারা শারফিন মিয়ার নেতৃত্বে তর্কবিতর্ক শুরু করে জুয়েলকে কিল ঘুষি মারলে সে ঘটনাস্থলেই পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করা হচ্ছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে মানুষজনকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। মামলা হলে এ ফুটেজ দেখে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।