কমলগঞ্জে কবর খুঁড়ে মরদেহের হাড় চুরির অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ জুন ২০২১, ৩:১০ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কমলগঞ্জে পুরানো কবর খুঁড়ে মরদেহের হাড় নিয়ে টুনকা ও কবিরাজি করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি কবর ভেঙে মরদেহের হাড় নেওয়ার চেষ্টাকালে গ্রামবাসীর অভিযোগে শুক্রবার সরেজমিন পুলিশ আসছে জেনে কবিরাজ দম্পতি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের উসমানগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পতনউষার ইউনিয়নের উসমানগড় এলাকার আব্দুল মতিন জানান, এ গ্রামের লাল শাহের মাজার ও গ্রাম্য কবরস্থান সংলগ্ন বাড়ির গোলাপ মিয়া (৬৫) ও তার স্ত্রী মায়া বেগম (৫৭) তার ভাই রকিব মিয়ার দেড় বছরের পুরানো একটি কবর ভেঙে মরদেহের হাড় নেওয়ার চেষ্টা করেন কবিরাজ গোলাপ মিয়া ও তার স্ত্রী মায়া বেগম। কবিরাজ দম্পতি এ কবরের ওপরাংশের মাটি সরিয়ে বাঁশও তুলে ফেলেন।
বিষয়টি টের পেয়ে তারা সারারাত কবর পাহারা দেন। পরে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়। এ অভিযোগে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহমান গাজী ও এএসআই এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ আসছে টের পেয়ে প্রতারক কবিরাজ দম্পতি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুল মতিন বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় কবিরাজ দম্পতির ওপর একটি অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাপ মিয়া ও তার স্ত্রী মায়া বেগম দীর্ঘদিন গ্রামে টুনকা ও কবিরাজি করছেন। সুযোগে বুঝে পুরাতন কবর ভেঙে মরদেহের হাড় এনে কবিরাজির কাজে ব্যবহার করেন। এমনকি মরদেহের কাপনের কাপড় কেটে কবিরাজির কাজে ব্যবহার করেন। এছাড়া পুরাতন কবরের ভেতরে তাবিজ পুতে রাখেন। গ্রাম্য কবরস্থানের পুরাতন কবর ভাঙা দেখলে এটি শিয়ালে ভেঙে ফেলেছে বলেও অপপ্রচার করেন এ কবিরাজ দম্পতি। অভিযোগ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেও পালিয়ে যাওয়ার কারণে কবিরাজ গোলাপ মিয়াকে পাওয়া যায়নি।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহমান গাজী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা ঘটনাস্থলে যাবার আগেই ভন্ড কবিরাজ দম্পতি পালিয়ে গেছে। এ অভিযোগে জোর তদন্তপূর্বক ভন্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াদৌস হাসান বলেন, অভিযোগকারী থানায় আসলেও এখন পর্যন্ত তার হাতে অভিযোগ পৌঁছেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।