জুড়ীতে কয়েক হাজার মানুষের বাঁশের সাঁকোই ভরসা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০২১, ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
জুড়ী প্রতিনিধি ::
জুড়ীতে একটি ব্রিজের অভাবে জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউপির প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে নদী পারাপার করছেন। উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী জুড়ী নদীর উপর ওই বাঁশের সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিবছর এলাকাবাসী চাঁদা তুলে সাঁকোটি মেরামত করে কোনমতে চলাচল করেন। সাঁকোটি দিয়ে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যুগের পর যুগ ভোগান্তি পোহালেও দেখার কেউ নেই। প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের নিকট থেকে ভুক্তভোগীরা ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার শুধু আশ্বাসই পায়; বাস্তবে তা আজও তা স্বপ্ন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করছেন কয়েকজন শ্রমিক। জানতে চাইলে তারা জানান, এলাকাবাসী চাঁদা তুলে এই সাঁকোটি তৈরি করেছেন। প্রতিবছরই নতুন বাঁশ দিয়ে মেরামত করতে হয়। আমরা কয়েকজন শ্রমিক ৪/৫ দিন ধরে সাঁকোটির মেরামত কাজ করে যাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী জহিরুল ইসলাম ও নয়াগ্রাম দাখিল মাদরাসার সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী বহু সরকার আসলেও জুড়ী নদীর উপর ওই সাঁকোর স্থানে অদ্যাবধি একটি ব্রিজ নির্মাণে কেউ উদ্যোগ নেননি। আমাদের এলাকার বাসিন্দারা তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-মাদরাসায় আসা-যাওয়ায় বাধ্য হয়ে এই সাঁকোটি ব্যবহার করছেন। শত শত মানুষ এই সেতুটি ব্যবহার করায় বর্তমানে এটি নাজুক হয়ে পড়েছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, বিভিন্ন পেশাজীবী লোকজনের এ সাঁকোই ভরসা।
এলাকাবাসীর দাবি, এই জায়গায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করলে জুড়ী নদীর এপার-ওপারের কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হতো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির আলী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এভাবেই বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে লোকজন পারাপার করছেন। এ সাঁকো দিয়ে অত্রাঞ্চলের স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখা করতে যায়। ফলে, সন্তনদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে হাকালুকি হাওরের শত শত কৃষকের যাতায়াতের রাস্তা এটি।