আশ্রয়হীন সূফিয়া, ভবঘুরে চলছে জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৫:১৩ অপরাহ্ণ
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে মাথাগোজার ঠাঁইসহ পোড়ে গেছে সূফিয়ার ছোট্ট সংসার। মুহূর্তের আগুনে এলোমেলো হয়ে গেছে স্বামী পরিত্যক্তা ৬৫ বছরের এই বৃদ্ধার জীবন। পেটের ক্ষুদা নিবৃত্ত করতে হাত পাতছেন মানুষের কাছে।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম খলাগ্রামে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গত ১০ দিন যাবত বিভিন্ন জনের বাড়িতে রাত্রী যাপন করছেন সুফিয়া। বার্ধক্যজনিত নানা রোগের কারণে কাজ করতে না পারায় জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে মানুষের কাছে হাত পাতছেন তিনি। এদিকে তার ১৫ বছর বয়সী ছেলেটি ট্রাকের হেল্পারের কাজ করছে।
জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে একই উপজেলার মেদিনিমহল এলাকার হামদু মিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুফিয়ার। এর আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলেন সুফিয়ার স্বামী হামদু। গত ৩ বছর ধরে হামদু মিয়া সুফিয়াকে ছেড়ে চলে যান। এর পর থেকে কোনো খবর রাখেন না সুফিয়া’র। বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দোকান ও বাজারে পানি বহনের কাজ করে কোনো রকম চলতো সুফিয়ার সংসার। কিন্তু অগ্নিকান্ডের পর সুফিয়া এখন নিঃস্ব। স্থানীয়রা জানান সুফিয়ার কোনো জায়গা সম্পত্তি না থাকায় আব্দুল বাছিতের বাড়িতে ভাড়া ছাড়াই থাকতেন সুফিয়া। এটা পুড়ে যাওয়ায় এখন আর তার মাথা ঠেকাবার জায়গা নেই।
সুফিয়া বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যুতের আগুনে ছাই হয়ে গেছে সবকিছু। পড়নের কাপড় ব্যতীত আর কিছু নেই।
এ বিষয়ে মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সালেক মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সহায়তায় মহিলার জন্য একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। প্রাথমিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করতেছি। পরবর্তীতে জায়গা পাওয়া গেলে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।