রাজনগরে ঘর পেল ৯৮টি আশ্রয়হীন পরিবার।। গরীবের আকাশ কুসুম স্বপ্ন রূপ নিল বাস্তবে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
আব্দুর রহমান সোহেল, রাজনগর ::
ছিলনা কোন জমি। ছিলনা কোন ঘর। অন্যের জমিতে বাশপালা দিয়েই ছিল মাথাগুজার ঠাই। বৃষ্টিতে যে দিকে পড়তো জলের ধারা সেদিকেই দেখা যেত আকাশের পূর্ণিমার চাঁদ। নুন আনতে যার পান্তা ফুরায় পাকা ঘরের স্বপ্ন দেখা সেখানে আকাশ কুসুম। যেন ‘ছিড়া খেতার নিচে থেকে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা’। এমন অবাস্তব বিষয়টিই আজ বাস্তব হয়েছে। নুন আনতে যেখানে পান্তা ফুরায় সেখানে উঠেছে নতুন পাকার ঘর।
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৯৮টি ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে মাথাগুজার ঠাই। ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষের এসব ঘর প্রস্তুত। হস্তান্তরের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এসব ঘরের চাবি ও কাগজ বুঝে পাবেন আশ্রয়হীন এসব পরিবার।
মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খলাগাঁও গ্রামের ডলি বেগম (৩৮) একটি ঘর পেয়েছেন। ডলি বেগমের স্কুল পড়–য়া দুই মেয়ে ও স্বামী নিয়েই সংসার। স্বামী বয়তুল মিয়া তেমন কাজ করতে পারেন না। শ^াসকষ্টে ভোগছেন। অন্যের জমিতে ঘর বানিয়ে কোনমতে দিনাতিপাত করছিলেন। ডলি বেগম বলেন, আমরার ঘর আছিলনা (ছিলনা)। জেগা (জায়গা) আছিলনা। আল্লাহর শুকুর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় আমরা আজ জেগা-ঘর পাইছি। আল্লায় তানর (প্রধানমন্ত্রীর) আর যেরা বানাইয়া দিছইন সবার ভালা খরওকা (ভালো করেন) দোয়া করি।
মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত বলেন, ভূমিহীন পরিবারগুলো এতাদিন আশ্রয়হীন ছিল। না ছিল জমি না ছিল ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আজ এসব পরিবার জমিসহ পাকাঘর পেলো। আশ্রয়হীন পরিবারকে আশ্রয় দেয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আশারাখি আশ্রয়হীন পরিবারগুলো নিজেদের ঠিকানায় শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে বসবাস করবে।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ আওতায় প্রথম পর্যায়ে রাজনগরে ৯৮টি ঘর সুষ্টু ও সুন্দরভাবে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব ঘর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানসহ সকল জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। শনবিার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পরিবারকে জমিসহ যাবতীয় কাজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হবে।