বিয়ানীবাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত, ১৫ জনের নামে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ৩:৪১ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার সংবাদদাতাঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী সমর্থক দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারীদের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ১৫ জানুয়ারী উপজেলার ২ নং চারখাই ইউনিয়নে রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম তারেক আহমদ। সে কাকুরা গ্রামের মইন উদ্দিনের পুত্র এবং বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের ছাত্র। চারখাই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমদ আলীর অনুসারী হিসেবেও সে পরিচিত ছিল ।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গতকাল বিকালে চারখাই বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমদ আলীর সমর্থকদের সাথে বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় একই ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরীর অনুসারীদের। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। আতংকে রাস্তা ও বাজারে থাকা লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। এসময় প্রতিপক্ষের আঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী তারেক আহমদ সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টিয়ারশেল,রাবার বুলেট ও ক্যাঁদানে গ্যাস মেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুলিশের সহায়তায় তারেক আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে একজন সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী এবং চেয়ারম্যান মাহমদ আলীর অনুসারী ছিল।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নিহত তারেক আহমদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা মইন উদ্দিন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে আজ বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার সূত্র অনুযায়ী মামলার আসামীরা হলেন-হোসেন মুরাদ চৌধুরীর প্রধান সহযোগী মাহিন চোধুরী,কাকুরা গ্রামের আব্দুল মানিকের পুত্র আবুল হোসাইন,একই গ্রামের বাসিন্দা নুরুন নবী,আলী হোসেন,জামিল আহমদ,আব্দুল মুক্তাদির,চারখাই গ্রামের ফয়ছল উদ্দিন,জয়নুল ইসলাম,মুন্না ইসলাম,রাহুল মিয়া,তারিন আহমদ,এখলাছ উদ্দিন,আবির হোসেন,সুলতান আহমদ ও জাকির হোসেন।
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ জানায়,তারেক হত্যা মামলার অনেক আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ মামলার ২ নং আসামী আবুল হোসেন সহ ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। নতুন হত্যা মামলা হওয়ার পর থেকে তাদেরকে গ্রেফতারে বিশেষ অভিযানে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। হত্যা মামলার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।