কমরেড আবদুল হক’র শততম জন্মবার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারে উদযাপন কমিটি গঠন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১:৩৩ অপরাহ্ণ
আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের মহান কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা কমরেড আবদুল হক- এর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ সাগ্নিককে আহবায়ক ও শ্রমিকনেতা রজত বিশ্বাসকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমরেড আবদুল হক-এর ১০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি, মৌলভীবাজার গঠন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরে কবি শহীদ সাগ্নিকের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এক প্রস্ততিমূলক সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল মোহাইমীন মিল্টন, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির মৌলভীবাজার জেলা আহবায়ক কৃষকনেতা ডা. অবনী শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা রজত বিশ্বাস, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গণসঙ্গীতশিল্পী অমলেশ শর্ম্মা, চা-শ্রমিক সংঘের জেলা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক চা-শ্রমিকনেতা হরিনারায়ন হাজরা, সত্য নাইডু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কমরেড আবদুল হক উপমহাদেশ তথা এ দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলন ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে শুধু একটি নামই নয় বরং তিনি হচ্ছেন এই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এক অগ্রসেনানী। ক্রুশ্চেভ-ব্রেজনেভ-গর্বাচেভ, তিনবিশ্ব তত্ত্ব, মাও সেতুং চিন্তাধারা ও মাওবাদ মার্কা সংশোধনবাদসহ সকল রূপের সংশোধনবাদ-সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ প্রতিষ্ঠায় কমরেড আবদুল হক অনন্য ভূমিকা পালন করেন। সভায় আগামী ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় মহান এই বিপ্লবীনেতার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মৌলভীবাজার শহরের একটি মিলনায়তনে যথাযোগ্য মর্যাদায় আলোচনা সভা সফল করার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, কমরেড আবদুল হক ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর যশোর জেলার খড়কীতে জন্মগ্রহণ করেন। কমরেড আবদুল হক ব্রিটিশ আমলে কোলকাতায় ছাত্রজীবনে শ্রমিকশ্রেণির মতাদর্শ ও রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৎকালীন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (ঈচও)’র সংস্পর্শে আসেন এবং শ্রমিক-কৃষক-জনগণের মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময়ে তিনি তাদের পরিচালিত ছাত্র সংগঠন ‘ভারতীয় ছাত্র ফেডারেশন’-এর বঙ্গীয় শাখার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এ প্রক্রিয়ায় তিনি শ্রমিক শ্রেণির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৪১ সালে পার্টির প্রার্থীসভ্য পদ ও পরে পূর্ণ সভ্যপদ লাভ করেন। মহান এই বিপ্লবী নেতা ১৯৯৫ সালের ২২ ডিসেম্বর ৭৫ বছর বয়সে আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।