কুলাউড়ায় বরমচাল ইউপি উপ-নির্বাচন || ধানের শীষের প্রার্থীর ভোট পুণগননার দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে ভোট পুণগননার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি প্রার্থী মো. আব্দুল মুক্তাদির মুক্তার।
ফলাফলের অনিয়মের ব্যাপারে ভোট পুণগননার দাবি জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে রিটানিং তা গ্রহণ করেননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আজ ১২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে কুলাউড়ায় একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতীক) মো. আব্দুল মুক্তাদির মুক্তা।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি’র প্রার্থী মো. আব্দুল মুক্তাদির মুক্তার বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গননা শেষে আমার এজেন্টদের দেয়া তথ্যমতে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফলে ১৫৪ ভোটে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু ৪ নং কেন্দ্র হযরত খন্দকার (র.) দাখিল মাদরাসা, ৬নং নন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮নং সিংগুর উচ্চ বিদ্যালয় ও ৯নং বরমচাল চা বাগান নাচঘর কেন্দ্রের ফলাফল শীট সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার আমার নির্বাচনী এজেন্টদেরকে না দিয়ে তড়িগড়ি করে উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে আসেন।
উপজেলা হলরুমে এসে দেখি বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফল, এজেন্টদের দেয়া ফলাফলের সাথে অমিল রয়েছে। আমি আপত্তি জানালে রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমি সাথে সাথে লিখিত অভিযোগ প্রস্তুত করি। তিনি বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। আমি অন্যরুম থেকে ঘণ্টাখানেক পরে এসে তড়িঘড়ি করে ৪৮ ভোট বেশি দেখিয়ে চশমা প্রতীককে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় আমি আবেদনটি দিতে গেলে তিনি রাখেননি। বলেন, অফিসে গিয়ে দিতে। আমি উনার অফিসে আবেদনটি নিয়ে গেলে দেখি গেইট ভেতর থেকে তালাবদ্ধ। বলা হয়, গেইট খোলা যাবে না।
সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে উপ-নির্বাচনে আমার ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে। আমি উক্ত ফলাফল প্রত্যাখান করে পুরো ইউনিয়নের ভোট পুণগননার আবেদন জানাচ্ছি। ভোট পুণগননার দাবি উপেক্ষিত হলে আমি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবো। সর্বোপরি আমি উচ্চ আদালতের দারস্থ হবো।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামন সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আনার উদ্দিন প্রমুখ।
উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও কুলাউড়া নির্বাচন অফিসার মো. আহসান ইকবাল জানান, আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।