মৌলভীবাজারে মেয়ে হত্যার বিচার চাইলেন বাবা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০২০, ৫:১৩ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারে মেয়ে হত্যার বিচার ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাবা সঞ্জব আলী। স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন মিলে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে সঞ্জব আলী সাংবাদিকদের জানান, মেয়ে হত্যার বিচার চাওয়ায় আসামী পক্ষের লোকজন তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
আজ ১৫ নভেম্বর রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গৃহবধূ ফারাহানা আক্তারের (২৫) এর পিতা মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের লামুয়া গ্রামের সঞ্জব আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহত গৃহবধূর মা রহিমা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে সঞ্জব আলী বলেন, ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গোমড়া গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে রুমেল আহমদের কাছে তার মেয়ে ফারহানা আক্তারকে (২৫) বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী রুমেল আহমদ, শ্বশুড় হোসাইন আহমদ, শ্বাশুড়ি জেসমিন বেগম, ননদ সীমা বেগমসহ পরিবারের অপর সদস্যরা যৌতুক দাবি করে শারিরীক নির্যাতন করেন। স্বামী রুমেল আহমদের দাবি অনুযায়ী একবার ব্যবসা করার জন্য ৪ লক্ষ টাকাও প্রদান করেন। তারপরও মেয়ের উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে অনেক সালিশ বৈঠকও হয়েছে। অকথ্য নির্যাতনের শিকার মেয়েকে একবার পুলিশ দিয়ে শ্বশুড়বাড়ি থেকে উদ্ধারও করা হয় বলে তিনি দাবি করেন। পরবর্তীতে মেয়ের জামাই আরো ৭ লক্ষ টাকা দাবি করলে তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় মেয়ের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
সঞ্জব আলী জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে ফারহানা তার মাকে ফোন করে বলে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করছে। এ খবর পেয়ে তিনি মেয়ের শ্বশুড় বাড়ি গেলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাকে মেয়ের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পরে ১০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে মেয়ের শ্বশুড় বাড়ি থেকে জানানো হয় মেয়ে মারা গেছে। মেয়ে মারা যাবার খবর পেয়ে গোমড়া গ্রামে গিয়ে দেখেন মেয়ের এক কানে দুল আছে অপর কানে দুল নেই। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী রুমেল আহমদ, শ্বশুড় হোসাইন আহমদ, শ্বাশুড়ি জেসমিন বেগম, ননদ সীমা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ২ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত ফারহানার ৫ বছরের একটি ছেলে ও ৩৭ দিনের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।