মৌলভীবাজারে শীতের আগমনী বার্তা
প্রকাশিত হয়েছে : ৭ নভেম্বর ২০২০, ৫:১১ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিনিধি ::
কুয়াশার বুক চিরে সূর্যোদয়। দুপুরে সহনীয় মাত্রার রোদ। বিকেল থেকে ঠাÐা আবহে নিস্তেজ সূর্যোকিরণ। রাত-গভীরে ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি। মৌলভীবাজারে গত কয়েকদিন ধরে এমন আবহ জানান দিচ্ছে শীতের পদধ্বনি।
নগর জীবনে কিছুটা কম হলেও মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চল, চা-বগান, হাওর-বাওড় ও পাহাড়ি এলাকায় হঠাৎ করে শুরু হওয়া শীতের এ আবহের কথা মানুষের মুখে মুখে। মূলত গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) থেকেই শীত জানান দিচ্ছে তার আগমনী বার্তা।
রাত নয়-দশটা থেকেই কুয়াশার হালকা চাদরে ঢাকছে আশপাশ। ভোররাতে কুয়াশার পরিমাণ আরো বাড়ে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশার এ রুপ দেখা যাচ্ছে।
এদিকে দেশের অত্যধিক শীতপ্রবণ এলাকার অন্যতম মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা। এ জেলায় এখানে সবচেয়ে বেশী শীত অনুভূত হচ্ছে। শ্রীমঙ্গল শহরে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শীত শুরু হওয়ায় অনেকেই শহর ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ী ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
শহরের বাসিন্দা গৃহিনী রুমা রায় জানান, গত দুদিন ধরে শীত শীত লাগছে। বাইরে হিমেলহাওয়া। পানি ব্যবহারেও শীতের পরশ পাই।
মৌলভীবাজার শহরের আরামবাগের বাসিন্দা সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মহসিন পারভেজ শীতের আগমনী বার্তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আবহাওয়ার হঠাৎ এ পরিবর্তনে জনস্বাস্থ্য সর্দি-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত আছেন। ঋতু চক্রের হিসেবে পৌষ-মাঘ মাস শীতকাল। এ সময়ে শীতের তীব্রতা চরমে পৌঁছে। কিন্তু পৌষ মাস আসতে এখনো মাসাধিক কাল বাকি। এ বর্ণনা দিয়ে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অতিথি শিক্ষক মো. সালাহ্ উদ্দিন বলেন, শীত শীত ভাব শুরু হয়েছে। তবে এটিকে শীতকাল বলা যাবেনা, শীতের পদধ্বনি বলা যাবে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, সূত্রে গত শুক্রবার (৬ নভেম্বর) শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন ১৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।