আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা || মৌলভীবাজারে ভূয়া মামলার বাদী জেল হাজতে
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২০, ৬:০০ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
আদালতকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা, প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে বাদীকেই জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আজ ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার মৌলভীবাজার ৩নং আমল গ্রহণকারী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর বিচারক মুহম্মদ আলী আহসান এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মো. হাবিবুর রহমান সি.আর-২২০/২০২০ (কমলগঞ্জ) নং মামলার বাদী। আজ মামলার তারিখ ধার্য্য ছিল। শুনানী চলাকালে আসামীপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, মিথ্যা অভিযোগ ও জাল কাগজাদি তৈরি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং বাদীপক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য নন এবং ভূয়া।
এতে বিচারকের সন্দেহ হলে এবং বাদীপক্ষে কোন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় বাদীপক্ষের নালিশা দরখাস্তে বর্ণিত আইনজীবীর একই নামীয় মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির দুইজন সদস্যকে আদালতে তলব করা হয়।
আইনজীবিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান যে, তারা কেউই এই মামলায় বাদীপক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী নন এবং নালিশা দরখাস্তে প্রদত্ত স্বাক্ষর তাদের কারো নয় এবং তারা ন্যায় বিচারের স্বার্থে অত্র জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।
কাঠগড়ায় উপস্থিত মামলার বাদী মো. হাবিবুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মাধ্যমে চুক্তিনামা তৈরি করে প্রতারণা ও হয়রানী করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত মামলাটি দায়ের করেন। তিনি অভিযুক্তদের চিনেন না এবং বিদেশ যাবার বিষয়ে কোন টাকা পয়সার লেনদেন ও চুক্তি হয় নাই। পরে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলা খারিজ করে দেন। একই সাথে অভিযুক্তদের অব্যাহতি প্রদান করে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে মো. হাবিবুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত জানান, বাদী মো. হাবিবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সি.আর-২২৪/২০২০ (কমলগঞ্জ) মামলায় উল্লেখিত অভিযুক্তদের হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা রুজু করে আদালতের সময় নষ্টসহ বিচারিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।