মৌলভীবাজারে সংবাদ সম্মেলন ।। পরিবহন শ্রমিক নেতাদের উপর মিথ্যা মামলার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২০, ৩:২২ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারে পরিবহন শ্রমিক নেতা পাবেল মিয়া ও আজিজুল হক সেলিমের উপর শ্রম দপ্তরের মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজনৈতিক মদদপুষ্ট হয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মিথ্যা মামলা করেছেন বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শ্রীমঙ্গলের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম।
আজ ১১ অক্টোবর রোবাবর দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৌলভীবাজার জেলা অটোটেম্পু, অটোরিক্সা, বেবি, মিশুক, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. পাবেল মিয়া, সহ-সভাপতি ফজিলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক দিলু আহমদ, কার্যকরী সদস্য কারি মো. রফিকুল ইসলাম আখন্দ।
লিখিত বক্তব্যে আজিজুল হক সেলিম বলেন, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শ্রীমঙ্গলের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম এর বরাবর গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে রিটার্ন দাখিল করার পর প্রাধিকার প্রাপ্ত হয়ে একটি অডিট ফার্মের নিরীক্ষক এ সালাম, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট গত ১ জানুয়ারি ২০১৮ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং পর্যন্ত হিসাবের সকল বহি নিরীক্ষা করে বিল ভাউচারের যথাযথ হিসাব পেয়ে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম রাজনৈতিক মদদপুষ্ঠ হয়ে ও একটি অশুভ চক্রকে সহযোগীতার হীনউদ্দেশ্যে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পাবেল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সেলিম এর বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি রাজনৈতিক চাপে মামলা করেছেন বলে শ্রমিক ইউনিয়নের এই নেতাদের কাছে স্বীকার করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট হয়ে একটি অশুভ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আজিজুল হক সেলিম বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মৌলভীবাজার সদরের ৬নং একাটুনা ইউপি নির্বাচনে আমি যাতে প্রার্থী হতে না পারি সেজন্য এই অশুভ চক্রটি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শ্রীমঙ্গলের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম জানান, ট্রেড ইউনিয়ন আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের নিকট থেকে ৩ টাকা হারে আদায় করা চাঁদা জেনারেল ফান্ডে রাখার কথা থাকলেও সেটি রাখা হয়নি। এছাড়া প্রতিবছরের হিসাব বিবরণী শ্রম দপ্তরে পরবর্তী বছর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করার কথা থাকলেও তা দাখিল করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা যথাযথ হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সুনির্দিষ্ট কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কোন রাজনৈতিক চাপে মামলা করা হয়নি।