শ্রীমঙ্গলে সংবাদ সম্মেলন
দুই ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ওএমএসএস এর চাল আত্মসাতের অভিযোগে
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ভূয়া টিপসই দিয়ে সরকারী ওএমএসএস এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মোছাব্বির মিয়া ও ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারী এই চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী শাহজাহান মিয়া ও আরজু মিয়া ।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন, “ওএমএসএস এর আওতাধীন শ্রীমঙ্গল খাদ্য গুদামের তালিকাভুক্ত চাল গ্রাহক হিসেবে ২০১৬ সালে প্রথমবার চাল উত্তোলন করার কয়েক মাস পর ২য় বার চাল সংগ্রহ করতে গেলে ডিলার পরিচয়ধারী ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জাহিদুল ইসলাম চাল না দিয়ে কার্ডটি উপজেলা অফিস হতে বাতিল হয়েছে জানিয়ে ফিরিয়ে দেয়।
এ বাপারে আমরা ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোছাব্বির মিয়াকে জানালে তিনি আমাদের নাম বাতিল হওয়ার কথা বলে উপজেলা অফিসে খবর নিতে বলেন।
তার কথা মতো উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারি ২০১৬ সাল থেকে আমাদের নামে ভূয়া টপসই দিয়ে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে সরকারী চাল বিতরনের নিমিত্তে সিন্দুরখান ইউনিয়নের ৬১৫ জন হতদরিদ্রের মাঝে কার্ড বিতরন করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় আমরা উপকারভোগী নির্বাচিত হলেও স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোছাব্বির মিয়া দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ অনেকের প্রাপ্য চাল আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তর থেকে নিয়োগকৃত ২জন ডিলার নিয়োগ করা হলেও মেম্বার মোছাব্বির ও জাহিদুল যোগসাজসে এই ডিলার নিয়ন্ত্রন করে আসছে।
এনিয়ে গত ২জুন, ২৪ জুন ও সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর পৃথক ভাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি।”
সিন্দুরখান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হেলাল বলেন, “তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। চাল না পাওয়ার বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি।”
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোছাব্বির মিয়া বলেন, “এ অভিযোগ মিথ্যা। সামনে নির্বাচন আসছে।তাই আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে।”
আর ডিলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গত দুই মাস ধরে এই দুইজন চাল নিচ্ছেন না। এর আগে নিয়মিত তাদের নামে চাল নেয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা নিচ্ছেন তা আমি বলতে পারবো না। এটা তাদের ওয়ার্ডের মেম্বার ভাল বলতে পারবেন।”
শ্রীমঙ্গল ইউএনও মো. নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, “তিনি এ ব্যাপারে বিব্রত। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি দু’টি তদন্ত কমিটি করেছেন- তার প্রতিবেদনও হাতে এসেছে। তিনি তদন্ত রিপোর্ট যথার্থ মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দিবেন। ”