জুড়ীতে পোল্ট্রি খামার ভাঙচুরের ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনারের তদন্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ জুলাই ২০২০, ৩:৪১ অপরাহ্ণ
জুড়ী উপজেলার আমতৈল গ্রামে বন্ধু পোল্ট্রি খামারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, ধান কাটার কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের যন্ত্রপাতি ভাঙচুর এবং করোনা পরিস্থিতিতে বিশাল গণজমায়েত সৃষ্টি করার দায়ে অভিযুক্ত জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ মোঈদ ফারুকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সরজমিন তদন্ত করেছেন সরকারের মাঠ প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত সচিব, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে খামার মালিক দীনবন্ধু সেন, সহযোগী শাহাজান ভূঁইয়াসহ বাদী পক্ষের লোকদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও বিবাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়। এছাড়া এই ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুড়ী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলামেরও স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে বাদী-বিবাদীদের নিয়ে আলোচিত সেই ‘বন্ধু পোলট্রি খামার’ পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমানসহ অন্যান্যরা।
তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার) মো. ফজলুল কবীর, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।
তদন্ত কাজ শেষে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে চিঠি পেয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য। সেই মোতাবেক আমি সরেজমিন এসে তদন্ত করেছি। আমি আমার প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিব। মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।